দফায় দফায় বৈঠকেও চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। মালিকপক্ষ আংশিক মজুরি বৃদ্ধি করতে চাইলেও শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে অনড়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন স্থানে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা।
আরোও পড়ুন: ডিম কারসাজিতে জড়িত ব্যবসায়ী সমিতির অসাধু সদস্যরা
হবিগঞ্জ : সকাল ১০টার দিকে রশিদপুর, দাড়াগাঁও, কামাইছড়াসহ ২৪টি চা বাগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। দাড়াগাঁও চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি প্রেমলাল আহির জানান, মজুরি বৃদ্ধি না করলে তারা চলতে পারবেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : উপজেলার ৫টি চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক মিছিল নিয়ে মহাসড়কের জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর অবরোধ করেন। দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় শ্রমিক নেতারা বলেন, বুধবার ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা করেছে। চা শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকা করা না হলে কোনো অবস্থাতেই তারা কাজে ফিরে যাবেন না।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : সকাল থেকে বড়াউড়া, খেজুরি, রাজঘাটসহ বিভিন্ন চা বাগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : সকাল ১০টার দিকে কোদালা চা-বাগানের শ্রমিকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় ‘ভাত কাপড়ের আন্দোলন, চলবেই চলবে, রুটি-রুজির আন্দোলন, চলবেই চলবে-এসব স্লোগান দেন তারা। চা বাগানের বটতলা থেকে মিছিল নিয়ে বাগানের ১নং গেট হয়ে কারখানার পাতাঘরের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয় শ্রমিকরা।
এতে সভাপতিত্ব করেন চা শ্রমিকদের পঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সভাপতি শিবলু কুমার দাশ। চা শ্রমিক নেতা রিটন দাশ মেম্বারের সঞ্চালনায় আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নূর লিটন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।