বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের প্রধান জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ব্যাপারে এ সংক্রান্ত উপ-কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।
 
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল বিষয়ে খতিয়ে দেখতে দুই মাস সময় দিয়ে একটি উপ-কমিটি করে দেয়া হয়েছিল। আমরা এখনো উপ-কমিটির রিপোর্ট পাইনি।’
 
বুধবার (২ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
 
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃতি চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
 
শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন জিয়াউর রহমান।
 
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান।
 
বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আইনি প্রক্রিয়া সব শেষ হয়েছে। অচিরেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খেতাব বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। সেটা প্রক্রিয়াধীন, দ্রুতই হবে।’