দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নিজ দলের কাউকেও সরকার ছাড় দিচ্ছে না মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সুশাসনের স্বার্থে অপরাধী যে-ই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব আন্দোলনের হুশিয়ারির বিষয়ে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল আন্দোলনের কথা বলছেন, কিন্তু আন্দোলন করার মতো শক্তি ও সামর্থ্য কি তাদের আছে?
‘যারা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি তাদের মুখে আন্দোলন সংগ্রামের কথা মানায় না। বিএনপির আন্দোলনে জনগণ এখন আর সাড়া দেয় না। তাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার’-যোগ করেন কাদের।
‘জনগণ সরকারের পাশে নেই’- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয় তাহলে সম্প্রতিকালের প্রায় সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ই প্রমাণ করে এদেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে আছে। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং তখনই প্রমাণিত হবে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে আছে কী নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে। প্রতিটি দুর্যোগ – দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগই সর্বপ্রথম মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
’গণমাধ্যমে যেন দুর্নীতি প্রকাশ না পায় সেজন্য গণমাধ্যমের ওপর সরকার আঘাত এনেছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে বিএনপি আমলে সাংবাদিক শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ বেশ কিছু সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অনেককে নির্যাতন করা হয়েছিল। তাহলে কি বিএনপি তাদের দুর্নীতি ঢাকতেই এসব সাংবাদিকদের নৃশংসভাবে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল?
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে এখন অন্ধকার নেই বরং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় যে অন্ধকারে রেখে যায়, সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার ধাক্কা সামলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন গতিশীল। করোনা সংকটেও জনগণের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলারে পৌঁছেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।