অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে করা মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ৬২ পৃষ্ঠার নথি সরানোর অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার এজাহারের জব্দ তালিকায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষ থেকে চুরি হওয়া ৬২ পৃষ্ঠার নথি উদ্ধার দেখানো হয়েছে।
জব্দ তালিকায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন সেট (যার একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি জি এস টোয়েন্টি আলট্রা লাইট, আরেকটি আইফোন সেভেন প্লাস) ও দুটি পিআইডি কার্ড জব্দমূলে উদ্ধার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নথি নিয়ে রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘এটি পুলিশের দেখার বিষয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যারা দিয়েছেন, তাদের বিষয়। তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে, মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে, পরে আবার তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে উদ্ধার হওয়া নথিগুলো। আদালত চাইলে তারা আবার দিতে বাধ্য থাকবেন।’
৬২ পাতার নথি কী বিষয়ক, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এটা পড়ে দেখিনি। এটা আমরা বুঝবও না। আসলেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার মতো তথ্য আছে কি না, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
রোজিনা ইসলাম সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, এই গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্রীয় কিছু গোপন নথি সরিয়েছেন; কিছু নথির ছবি তুলেছেন। এগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারত। নথিগুলো ছিল টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট প্রণয়নকাজ চলছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।