মোঃ সেলিম রেজা,কেশবপুর প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে কেশবপুরের ছাদ বাগানের কৃষিতে নারীদের সম্পৃক্ততা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেশবপুরে হাসপাতাল রোডে অবস্থিত নতুন মূল গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা রিজুয়ানা আফরিন (সৌমি) উনার তিন তলা বাসার ছাদ বাগানে যেয়ে দেখা যায় বিভিন্ন গাছের সমারহ।
কয়েক রকম লেবু গাছের সারি তার মধ্যে রয়েছে সুইট লেমন, মালটা, কমলা এবং পাতি লেবু। পেয়ারা গাছের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর পেয়ারা এবং আপেল পেয়ারা। গাছের ডালে ছবেদা এবং বর্তমান সময়ে পাকা কুল ধরে আছে খুবই সুস্বাদু।
ছাদের উপর জামরুল গাছটা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। ছাদের একপাশে রজনীগন্ধা এবং চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফুটে আছে, যা অপরূপ সৌন্দর্য লাগছে দেখতে। থাই বাতাবি লেবুর ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে মনমুগ্ধকর পরিবেশ ছাদের উপর। প্রত্যেকটা গাছের পাশে ঝাল গাছের সারি। সৌমি ম্যাডাম এক পর্যায়ে ঝাল সম্পর্কে বলেন, আমরা ৪ বছর ঝাল ক্রয় করি না বল্লেই চলে। অনেক দামের সময় এই গাছের ঝাল খেয়েছি। ঝাল গুলি খুবই সুন্দর আমার হাসবেন্ড খুলনা হতে তার বন্ধুর কাছ থেকে দুইটি চারা ৪ বছর পূর্বে এনে লাগিয়ে ছিল। তখন থেকে আমারা আর ঝাল ক্রয় করি না। এবছর আমরা ছাদে লাগানো নিজের গাছের বেগুন খেয়েছি । এখন তো লাউ, পেয়ারা, কমলা দেখতে পারছেন। পরিচর্যার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন স্কুল থেকে আসবার পর যতটুকু সময় থাকে গাছের পরিচর্যা করি এবং প্রতিনিয়ত পানি দেই। এদিকে পাশের বিল্ডিংয়ে তিন তলা ছাদের উপর সিনথিয়া বেগমের একটি ছোট ছাদ বাগান রয়েছে। কপোতাক্ষ ক্লিনিকের ৪ তলা ছাদের উপর ছাদ বাগান দেখা যাচ্ছে।
অসুবিধার কথা জানতে চাইলে সৌমি ম্যাডাম বলেন – একটাই অসুবিধা আছে ,সেটি হচ্ছে হনুমান । যখন তখন ছাদ বাগানে হনুমান হামলা করে গাছ এবং ফল নষ্ট করে দিয়ে যায়, যাহা খুবই কষ্টকর।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।