কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছালিমা খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূ ৩ বছরের শিশু ছেলে রেখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। ২২ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) দুপুরে উপজেলার সন্যাসগাছা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সে ওই গ্রামের বিল্লাল সরদারের স্ত্রী। আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা মুনছুর মোড়ল বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নিহতের পরিবার ও থানার অপমৃত্যু মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার সন্যাসগাছা গ্রামের সমর সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদারের সাথে ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মাতলিয়া গ্রামের মুনছুর মোড়লের মেয়ে ছালিমা খাতুন (২৬) সহিত বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ওসমান (৩) নামের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ২২ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) দুপুরে গৃহবধূ ছালিমা খাতুন বিষপান করার পর স্বামীর বসতঘরের মধ্যে ছটফট করতে থাকে। ওইসময় তার স্বামী বিল্লাল সরদার টের পেয়ে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় ছালিমা খাতুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ছালিমা খাতুনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবারের লোকজনকে পরামর্শ প্রদান করেন।পরবর্তীতে এ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে কেশবপুর পৌরসভার আলতাপোল ধোপাপাড়া মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু ঘটে।খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মফিজুর রহমান বলেন, বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য নিহতের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।