রাজশাহীর বাঘায় পুলিশের দেওয়া উপহার হিসেবে পাকাঘর পেলেন গৃহহীন সুফিয়া বেওয়া। আজ রোববার (১০ এপ্রিল) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুফিয়াকে পাকাঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন। সুফিয়া বেগম উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের মৃত আবদুল সাত্তারের স্ত্রী।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দুই শতক জমির ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ আধাপাকা ঘর তৈরী করে দেন পুলিশ। বাঘা থানা চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু,তদন্ত ওসি আবদুল করিমসহ থনা স্টাফ গণমাধ্যম কর্মী শিক্ষক প্রমুখ। সুত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে স্বামী আবদুল সাত্তারকে হারিয়ে এক বছরের সন্তন শহিদুল ইসলামকে নিয়ে সুফিয়ার ঠাঁই হয়েছিল দিঘা গ্রামের অন্যের জমিতে। তারপর মানুষের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছিল তার।

সুফিয়া যখন স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার একটু জায়গা পেতে সংগ্রাম করছেলন, সেই সময়ই তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘মুজিব বর্ষে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর পুলিশের পক্ষ থেকে সারা দেশের প্রতিটি থানায় গৃহহীন নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পরিবারকে একটি করে ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তার অংশ হিসেবে উপজেলার দিঘা বলারবাড়ি গ্রামের গৃহহীন সুফিয়া বেওয়াকে একটি আধাপাঁকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়।

বাউসা ইউনিয়ন সাবেক ইউেি সদস্য বলেন, নিজেদের ভিটামাটি না থাকায় প্রায় ২০ বছর ধরে দিঘা বলারবাড়ি গ্রামের মাজেদুল ইসলামের জমির উপর ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘরে জীবন-যাপন করেন সুফিয়া। স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে শহিদুল ইসলাম বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। এ বিষয়ে সুফিয়া বেওয়া বলেন, আমি ঘর পেয়ে যে কি আনান্দ পাচ্ছি! তা বলে বুঝাতে পারবোনা আমি খুবই খুশি। যতদিন বেঁচে থাকি আল্লাহর কাছে প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের জন্য দোয়া করব। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২ শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ঠ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে রান্নাঘর। এই ঘর তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।