ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে সংসদ সদস্য পদ হারালেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকার।

 

মূলত ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। এ আইন বলছে- রাহুল অন্তত আগামী ছয় বছর কোনো ভোটে লড়তে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলায় দুই বছরের সাজা দেন দেশটির আদালত।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক বিধায়ক। সুরাটের আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছিল চার বছর ধরে।

বৃহস্পতিবার সকালে মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গুজরাটের সুরাটে গিয়ে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যের নেতারা।

রাহুলের আগমন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন গুজরাট রাজ্যের কংগ্রেস নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। কারও কারও হাতে রাহুলকে ‘শের–ই–হিন্দুস্তান’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির কড়া সমালোচনা করে একহাত নিয়ে রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাহুলের পক্ষ নিয়ে টুইটারে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে মমতা বা অভিষেক, কেউই রাহুলের নাম নেননি।

মমতা টুইটে লিখেছেন- প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন-ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা। অপরাধী নেতাদের বিজেপির মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, আর বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার জন্য!