ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে সাইফুল ইসলাম নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) আদালত সূত্রে আসামির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা গেছে।

জানা যায়, ৫০ পুরিয়া (৫ গ্রাম) হেরোইনসহ সাইফুল ইসলাম নামে ওই আসামিকে সোমবার (২১ মার্চ) কদমতলী থানাধীন তুষারধারা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন দুপুরে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কদমতলী থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে দুপুর সোয়া ১টা থেকে ১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে যে কোনো সময় পালিয়ে যায় ওই আসামি। সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ মার্চ) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকের আদালত এজাহার গ্রহণ করে কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর কিরন মিয়াকে মামলাটি তদন্ত করে আগামি ৯ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সাইফুলের বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর এসএম জহিরুল আলম বলেন, ‘সাইফুল ইসলামকে হেরোইনসহ আমরা গ্রেপ্তার করি। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। কোর্টের হাতজখানা থেকে আসামি পালিয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটা মামলাও করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সিএমএম আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা আসামি পাইনি। থানা থেকেই আসামি পালিয়েছে। আমাদের কাছে আসেনি।’

তবে কদমতলী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে জানা গেছে, আসামিকে হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। ফিঙ্গার প্রিন্টও নেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, আসামি নেই। সে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কদমতলী থানার এএসআই শেখ জাহিদুর রহমান কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাইফুলসহ থানার অন্যান্য আসামিদের হাতকড়া পরিয়ে সরকারি প্রিজন ভ্যানে করে দুপুর সোয়া একটার দিকে সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় আনা হয়। সেখানে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি আসামিদের হাতকড়া খুলে তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়াসহ ছবি তোলে।

পরে আসামিদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ২য় তলার হাজতখানার সামনের করিডরে রাখা হয়। সেখানে থাকা অন্যান্য থানার আসামিদের সাথে সাইফুল মিশে যায়। কদমতলী থানার আসামিদের জমা দেওয়ার সময় সাইফুলকে না পেয়ে হাজতখানার কর্তব্যরত অফিসার ও ফোর্স আসামিকে খুঁজেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।

সাইফুল ইসলাম সু-কৌশলে হাজতখানা থেকে পালিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন জাহিদুর রহমান।