মোঃ রিয়াদ গাজী, নলছিটি উপজেলা প্রতিনিধি: এই বর্ষায় সুগন্ধা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, বাজারসহ শত শত হেক্টর কৃষিজমি।
ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশকিছু স্থাপনা। আকস্মিক ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এরই মধ্যে এ ভাঙনে বিলীন হয়েছে জেলার অর্ধশত গ্রাম। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
দীর্ঘদিন ধরে এ ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙনের মাত্রা বেড়েই চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠালেও তা ফাইলবন্দি হয়ে আছে বলে জানা গেছে। নলছিটি পৌরসভার মল্লিকপুর থেকে সারদল গ্রাম পর্যন্ত সুগন্ধা নদীর তীব্র ভাঙন আরও তীব্রতর হচ্ছে। নলছিটির হদুয়া এলাকার বাসিন্দা কাসেম সিকদার বলেন, ‘জায়গা-জমি বহু আগেই গেছে।
গতবছর বাড়ি গেছে, এবার দোকানটাও গেল। এখন আমার আর কিছুই নাই, এই বিষখালী আমার সব খাইছে।’ নলছিটি ভবানীপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘যে গতিতে নদী ভাঙছে, তাতে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চাঁনপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা যাবে না।’
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে স্থায়ী বেড়িবাধ নির্মাণ শেষে ব্লক স্থাপন ও খনন কাজের জন্য ৬৯৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।