আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন সবাই বাঙালি : সজীব ওয়াজেদ জয়।

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠাকালীন ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি থেকে সরে যেতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, আমরা সবাই বাঙালি।’
মঙ্গলবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তরুণ সংগঠকদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, ‘প্রতিবার আপনাদের দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নালিশ করার একটা সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু এই তরুণরা নালিশ না করে সমাজের সমস্যা সমাধানে নিজ মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
‘অন্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ যারা এখানে পুরস্কার পেয়েছেন এবং যারা পাননি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আপনারা সেই কাজটি করছেন।’
জয় আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যখন বিভিন্ন উন্নত দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেশি, সেখানে আমাদের মৃত্যুর হার কম। একটি মৃত্যুও অবশ্য কাম্য নয়।
‘তারা তাদের মেধাবী ডাক্তারদের কথা শোনেনি। কিন্তু আমরা শুনেছি।’
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক ধারা এখনো উন্নতির দিকে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু নেতৃত্বগুণে আমরা এখনো উন্নতি করছি।’
দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের ৩০টি সংগঠনকে আজ জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ৩০টি সংগঠনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ডা. নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ বিপু।
বিজয়ীদের কাছে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ল্যাপটপ পৌঁছে দেয়া হবে। এ ছাড়াও শীর্ষ মনোনয়ন পাওয়া সকল তরুণ সংগঠন পাবে সার্টিফিকেট।
প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।