বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’র প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ও সাগরের পানির উচ্চতাও বেড়েছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ পায়রা বন্দর থেকে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। পায়রা বন্দরে দুরবর্তীয় দুই নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মাছধরা সব নৌকা ও ট্রলারসমূহকে গভীর সাগরে যেতে না করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ইলিশ ধরা ট্রলার এখনও তীরে ফিরতে পারেনি বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মহিপুরের মৎস্য আড়ৎ কক্সবাজার ফিসের সত্তাধিকারী মনির হাওলাদার জানান, গদির বেশিরভাগ ট্রলার এখনও সাগরে রয়েছে। ফিরতে আরও অন্তত একদিন সময় লাগবে। এমনিতেই সাগরে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। তার ওপর প্রাকৃতিক ঝড়ের কারণে ট্রলারের মালিকরা অনেক লোকসানের ঘানি টানছে। মাহতাব নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এ বছর সাগরে তেমন মাছ ধরা পরেনি।
তার ওপর বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে।’ পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় গুলাব পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম অর্থাৎ ভারতের উড়িষা উপকুলে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আমাদের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, এসব এলাকায় বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।