উপকূলীয় অঞ্চলে রবিবারের ঘুর্নিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের।এলাকা ভিত্তিক ফসলের ক্ষতির পরিমান মারাত্মক।চাষীদের অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।মাঠে ধান দেখে বুকে আশা ছিলো সব ধার দেনা শোধ করে লাভের মুখ দেখবে।কিন্তু বিধিবাম।এমন হতাশার কথা শোনা যাচ্ছে কৃষকের মুখে মুখে।
উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর চিতলমারী উপজেলার ২১টি ব্লকে বোরো ধান চাষ করেছে কৃষকরা।৭ ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে ২৮হাজার৫২৮একর জমিতে হাইব্রিড ও ৩৮৩একর জমিত উফশী জাতোর ধান চাষ হয়েছে।৩০হাজার পরিবার ধানচাষে জড়িত।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ধান চাষের উপর নির্ভর।
কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার পূর্বে হঠাৎ ঝড়ে ধানগাছ গুলোর পাতা রৌদ্রে শুকিয়ে যাচ্ছে।ধানের বাইলগুলে কাশফুলের মতো আকার দিনকে দিন ধারণ করছে।
সন্তোষপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার মন্ডল প্রতিবেদককে বলেন ঝড়ো বাতাসে জমির ধান অর্ধেক বাড়িতে আসবেনা।কিছু জমবতে ধান কাটার প্রয়োজন পড়বে না।যার অর্ধেকাংশ চিটা হয়ে যাবে।আমরা বিলের জমি দেরি করে লাগাই।মহিলারা জমিতে গিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে।দেখলে চোখে জল এসে যাবে যে কারো।
চিতলমারী কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষিকর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) শংকর মজুমদার,মৃদুল বিশ্বাস, বলেন ঝড়ে প্রচন্ড ক্ষতি হয়েছে কৃষকের।গরম হাওয়ার জন্য এতো ক্ষতি।
কৃষিকর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার সহ উদ্ধতন কর্মকর্তারা ক্ষড়িয়া, আড়ুলিয়া,ডুমুরিয়া এলাকা পরিদর্শনে আসেন।তিনি বলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃক্ষকদের ক্ষতি হয়েছে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।