মোঃ ফারুক হোসেন চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম কর্ণফুলীতে একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে সাইড দিতে গিয়ে দ্রুতগতির বিআরটিসি বাস ও লোকাল বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত ১৪ হওয়া জনকে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

১৮ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিকলবাহা চৌমুহনী কেডিএস পাম্প এর সামনেই এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কয়েকঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বিআরটিসির বাস, সিএনজি ও লোকাল বাসটির সামনের অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

তবে তাৎক্ষনিক আহত নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম কালামিয়া বাজারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিট। এর আগে খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. দুলাল মাহমুদ ও ট্রাফিক টিআই আনোয়ারুল আজিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বেলা ৪টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শুক্রবার দুপুরের পর শিকলবাহা চৌমৌহনী এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে সাইড দিতে গিয়ে দ্রুতগতির বিআরটিসি বাস ও লোকাল বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

এতে বাসের সামনে থাকা তিনজন লোক ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসন ও উদ্ধারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৪জনকে উদ্ধার করে মেডিকেলে পাঠিয়েছেন।

কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেকে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) আনোয়ারুল আজিম বলেন, এই পর্যন্ত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ১৪ জনকে উদ্ধার করে চমেক মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কর্ণফুলিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।আহতদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা শুরুত্বর।’

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কলেজ বাজার এলাকায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে বিআরটিসি বাস, লোকাল বাস ও সিএনজি অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে।নারী, পুরুষ, শিশুসহ অন্তত ১৪ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।