বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি দিন গড়ে ৮-১০টি করে লাশ বিমানবন্দরে আসে। এই লাশগুলো গ্রহণ করেন মৃত প্রবাসীদের পরিবার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে মোট লাশ এসেছে তিন হাজার ৮০৩টি, ২০২০ সালে দুই হাজার ৮৮৪টি, ২০১৯ সালে তিন হাজার ৬৫৮টি, ২০১৮ সালে তিন হাজার ৬৭৬টি।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই লাশের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অনেক লাশই দেশে পৌঁছাতে পারেনি।
সেগুলো প্রবাসেই দাফন করা হয়। এছাড়া সরকারি এই হিসাবের বাইরেও অনেক লাশ প্রবাসে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়ে থাকে। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায়, প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত বা ব্রেইন স্ট্রোকের কারণে।
আবার এদের একটা বড় অংশই মধ্যবসয়ী কিংবা তরুণ। এ ছাড়াও হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, কিংবা প্রতিপক্ষের হাতেও খুন হন বাংলাদেশিরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।