জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকের হাটের শাপলা চত্বরের জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনায় মশা ঘর বেঁধেছে। দেখে মনে হয় এটি যেন মশা তৈরির কারখানা।
স্থানীয় সচেতন মহলরা বলছেন, দ্রুত এসব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করলে এখান থেকে সৃষ্ট মশাসহ অন্যান্য রোগজীবাণু চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সৃষ্টি হতে পারে এডিস মশার।
এতে হাটের যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে তেমনি আবর্জনা ও মশা-মাছির উপদ্রবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে বসেছে। সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও সৌন্দর্য্য বর্ধনের বিপরীতে ঐতিহ্যবাহী এই শাপলা চত্বরটি যেন এখনো আলোর মুখ দেখেনি অপরদিকে এটি এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড় আর মশার অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় এখানে চাষ করা হয় বিদেশী জাতের মাগুর মাছ।
সরেজমিনে দেখা যায়,এই শাপলা চত্বরের চারপাশে গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান বিভিন্ন দোকানপাট।ভেতরের জমানো পানিতে কমলার পনস, সিগারেটের প্যাকেট ও ঠাণ্ডা পানীয় বোতল পড়ে আছে। সেই সঙ্গে পড়ে আছে পলিথিন এবং নানা বর্জ্য। এছাড়াও সেখানে চাষ করা হচ্ছে বিদেশী জাতের মাগুর মাছ। এসব বর্জ্য পানিতে পচে মশাসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি একটি স্থাপনার মধ্যে যদি এ অবস্থা থাকে তাহলে সরকার মানুষকে সচেতন করবে কিভাবে। সরকার ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। অথচ উপজেলার মধ্যে এরকম একটি বড় হাটের ভিতরে এমন অবস্থা সেটা কি হাটের কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের চোখে পরে না ? এবং এখানে যে মাছ চাষ করা হচ্ছে আসলে এটা কি মাছ চাষের জন্য দেয়া হয়েছে?
ছাতিয়ানগড় গ্রাম থেকে পাকেরহাটে আসা খালেদ রায়হান নামে এক মেডিসিন ব্যবসায়ী বলেন, এ স্থাপনাটি হাটের সৌন্দর্যের জন্য তৈরি হয়ে কয়েক বছর আগে। অথচ সেই সৌন্দর্যের মুখ এখনো দেখেনি। কি কারণে দেখেনি তা অনেকেরই অজানা। এ স্থাপনার মধ্যে জমানো পানিতে ফেলা ময়লায় মশা,মাছিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ জন্ম হচ্ছে। এগুলো অপসারণ না করলে শুধু ডেঙ্গু না, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিতে পারে। এই শাপলা চত্বরটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় কার্যকর পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্ বলেন, আসলে এই বিষয়টা তো আমার জানা নেই। এর আগে যখন এই শাপলা চত্বরে পানি ও ময়লা-আবর্জনা জমে ছিল সেগুলো আমার নজরে আসলে সেই ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল। এছাড়া মাছ চাষের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে কে মাছ ছাড়ছে সেটা আমি জানি না। এবং আমাকে কেউ জানায়নি। এখন যেহেতু শুনলাম দেখি আমি বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।