রাকিবুল হাসান আহাদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বরমী কোশাদীয়া গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ইটের সলিং এর নির্মানকৃত রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রতীন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরমী ইউনিয়নের কোশাদীয়া গ্রামে প্রায় ৩/৪ শত মানুষের বসবাস এবং চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি দেড়শো বছরের পুড়নো হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকার জনগণ অতিকষ্টে দিনযাপন করছে।
বরমী কোশাদিয়া গ্রামের অধিকাংশ লোক মৎস্য জীবি ও নিম্ন আয়ের লোক। নদীতে মাছ ধরাসহ মাছ বিক্রি করে এবং ছোট খাটো ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
কোশাদীয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে এই কাঁচা রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল, এ রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সহ কালি বটগাছ পূজামন্ডবে এবং ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে এবং বরমী বাজারে যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে জানা যায়।
এ রাস্তাটি কোশাদীয়া গ্রামের অত্যান্ত প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় দেড়বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার কতৃক ইউপি অর্থায়নে রাস্তার ৭০ শতাংশ ইটের সলিং এর কাজ হয়েছিল,বাকি ৩০ শতাংশ কাজ শুরু করতে গেলেই ঐ সময় একই গ্রামের রতীন্দ্র বর্মন উক্ত ৩০ শতাংশ রাস্তার একাংশের উপরে একটি অস্থায়ী মাচাঘর নির্মান করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এনিয়ে এলাকার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে।
জানা যায় রতীন্দ্র বর্মনের ৬ ছেলে বর্তমানে ভারতে বসবাস করে এবং তাদের দখলকৃত বেশিরভাগ জমি বিক্রি করে ভারতে চলে যায়। উল্লেখ্য দেড় বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল হক বাদল এবং সাবেক ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেনের সমন্বয়ে প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তাটি সেকশন করে এবং ৭০% কাজ সমাপ্ত করে বাকি ৩০% কাজ রাস্তার শুরু করার সময় রতীন্দ্র বর্মনের ছেলে ফটিক বর্মন ও প্রদীপ বর্মনের বাধার কারণে দেড় বছর যাবৎ রাস্তাটি বন্ধ আছে।
এ বিষয়ে বরমী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই রাস্তা হলো আমার জন্মলগ্ন থেকে। আমার বয়স চুয়াল্লিশ বছর ছোট বেলা থেকেই এই রাস্তা দিয়ে দিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতাম এবং মূর্তি পুজা দেখতে যেতাম, আমি যখন মেম্বার ছিলাম তখনো রাস্তাটি ওপেন ছিলো। রাস্তাটি করতে গেলে রতীন্দ্র বর্মণের ছেলেরা বাধা দিলে বাস্তার বাকি অংশের কাজ করতে পারি নাই। এমপি মহোদয়ের কাছে প্রায় ২০০ শতাধিক এলাকাবাসীর সাক্ষর সহ অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো। উনি যদি অনুমতি দেন এলাকার কথা ভেবে ইনশাআল্লাহ আমি রাস্তা টিনের সেট এর প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা ওপেন করে বাকি অংশের কাজ করে দিবো। কারণ ৯৯% লোকের যাতায়াতের রাস্তা এটি পুরনো ব্রিটিশ আমলের রাস্তা এটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।