নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান। বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ইমরান হোসাইন, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা মাহবুব আলম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, মুফতি আশরাফুল ইসলাম, এস কে নাজমুল হাসান, মোঃ শরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ মোমিনুল ইসলাম, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মুফতী শেখ আমিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন, মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবু সাঈদ, আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন বন্দ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাওঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ শফিউল ইসলাম, মাওঃ নিজামউদ্দিন মল্লিক, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মোঃ আল-আমিন, শ্রমিকনেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হেলাল উদ্দিন শিকারি, গাজী মুরাদ হোসেন, যুবনেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ মেহেদী হাসান, মাওলানা ফজলুল করিম, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ছাত্রনেতা মোঃ মঈনুল ইসলাম, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ ইব্রাহীম ইসলাম আবীর, এনামুল হাসান সাঈদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরহাদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ। আব্দুল আউয়াল বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি আমানুল্লাহ বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।