রাজশাহী ্যুরো :রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিণা এলাকা থেকে জুয়েল হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে বাঘা থানা পুলিশ। বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টার সময় এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জুয়েল হোসেন পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মৃধা পান্না পাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। জানা যায়, বাঘা উপজেলার হরিণা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (শিক্ষক) এর বাড়ির দক্ষিণ পার্শের পুকুর পাড়ে ফজরের নামাজ শেষ করে আসার পথে স্থানীয় মাবুদ নামের এক ব্যাক্তি মটর সাইকেল দেখতে পায়।
তার ডাকে লোকজন ছুটে আসে। পরে পুকুরে একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে বাঘা ফায়ারসার্ভিস কে খবর দিলে তারা পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয় জামিল হোসেন নামের এক ব্যক্তি, বলেন, সকালে একটি মোটর সাইকেল দ্রুত গতিতে যেতে দেখেছি। মাসুদ রানা (শিক্ষক) বলেন, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠি তখন খুব জোরে একবার শব্দ শুনতে পায়। তারপর আর কোন শব্দ না পেয়ে বের হয়নি। সকালে শুনলাম পুকুরে লাশ পাওয়া গেছে। নিহত জুয়েল হোসেন এর মা ও স্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটের সময় কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। নিহতের বড় ভাই জহুরুল বলেন,আমার ভাই আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। এখন সে কবিরাজি করে।
এখানে এসে জানতে পারলাম আমার ভাই ডিবি ও র্যাবের সোর্স হিসাবে কাজ করতো।সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুর পাড়ের পাকা রাস্তায় পূর্ব দিক থেক আসা ও পশ্চিম দিক থেকে আসা দুইটি পৃথক মটর সাইকেলের টায়ারের দাগ রয়েছে। পাড়ের আমগাছের ৫” উচ্চতায় মটর সাইকেল এর স্যাইলেনসার পাইপে লাগার দাগ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ গজ পশ্চিমে রাস্তায় লাল রঙের মটর সাইকেলের বিভিন্ন জায়গার ভাঙ্গা অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে লাশের শরীরে কোন ক্ষত নেই। বাঘা থানা পুলিশের এসআই তৈয়ব আলী বলেন, লাশের শরীরে কোন ক্ষত চিহ্ন নেই।
লাশের সাথে একটি স্মার্ট ফোন ও স্যাম্ফনি ব্র্যান্ডের একটি বাটন ফোন, মানিব্যাগ,জাতীয় পরিচয় পত্র ও প্রশাসনিক সোর্সের দুইটি কার্ড এবং একটি ব্যাগ পাওয়া যায়। এছাড়াও একটি সিলভার কালারের ১০০ সিসি ফ্রিডম মোটর সাইকেল যার নাম্বার নাটোর- হ ১১-১৮-২৩ পাওয়া যায়। বাঘা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিরত অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে একটি টিম হরিণা এলাকার একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
পুকুরে আরও কোন লাশ আছে কিনা জানতে রাজশাহী থেকে ডুবুরি আনা হয়েছে তবে কিছুই পাওয়া যায় নি। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো, সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা।মোটরসাইকেল চালক জুয়েল চলতি অবস্তায় পুকুরে পড়ে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লাশের শরীরে কোন ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে এবিষয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে।আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।