র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো.মোস্তফা জামান, আর্টিলারি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে, বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁ জেলার ধামরইহাট উপজেলার ফতেপুর বাজারস্থ পানহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ টি ট্যুরিষ্ট ভিসা, ১ টি পাসপোর্ট, ১টি সৌদি কারাগারের মুক্তিপত্রসহ মানবপাচার রুটের মূলহোতা নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকভবানী এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো.আবুল হাসনাত (৩৭) ও একই এলাকার মৃত.ছহির উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৬০) কে আটক করেছে র‍্যাব-৫ এর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) সকালে জয়পুরহাট র‍্যাব-৫ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে জানানো হয় যে, ১ নং অভিযুক্ত মোঃ আবুল কালামের ছেলে ও ২ নং অভিযুক্ত মোঃ হাসনাতের ভাই আবুল হায়াত সৌদি প্রবাসী। অভিযুক্তদ্বয় বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় এবং অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।

অভিযুক্তদ্বয়ের পাশের গ্রামের নিবাসী (বাদী) মো. অহিদুল ইসলাম (৩৫) কে বিদেশে পাঠানোর নামে তারা মোট ৪,৮০,০০০ টাকা নিয়ে উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে তাকে ট্যুরিস্ট ভিসায় সৌদিতে পাঠায়। সৌদি আরবে যাওয়ার পর ভিকটিম মোঃ অহিদুল ইসলামকে একটি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে একটি স্টোর রুমে প্রায় দুই শতাধিক লোক দেখতে পান। পরে তিনি জানতে পারেন যে তিনি ভুয়া একটি কোম্পানির মাধ্যমে পাচার হয়ে বিদেশে এসেছেন এবং তারা তাকে ট্যুিরস্ট ভিসায় এনেছেন। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ পার হয়ে গেলে সে সৌদি পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ায়। অবশেষে সে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এবং ২০ দিন সৌদি কারাগারে থেকে মুক্তি পেলে সৌদি সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠায়। এতে ভিকটিম অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিম অহিদুল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন।

উক্ত অভিযোগ প্রাপ্ত হওয়ার পর জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে
জয়পুরহাট র‍্যাব-৫ ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশন দল অভিযান চালিয়ে মানব পাচার রুটের মুলহোতাসহ ২ জন অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে ধৃত অভিযুক্ত মানব পাচারকারী ২ জন আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও র‍্যাব জানাই।