সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ ভোট নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সিলেট বদলি করা হয়েছে।
গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে কুমিল্লার দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানাকে সপ্তম এপিবিএন সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।
জুয়েল রানা বক্তব্য প্রদানের পর সেটির ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ভার্চুয়াল জগতে। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় মন্তব্য।
ভাইরাল সে বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলে যে চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন- বিষয়টা এমন না। আমি যেখানে নির্বাচন করেছি নৌকা ২৫১ ভোট পাইছে। চেয়ারম্যান হইছে ৩ হাজার ভোটে, সেকেন্ড হইছে ২৮ শ ভোটে, থার্ড হইছে ২৭ শ ৫০ ভোটে, নৌকা পাইছে ২৫১ ভোট’।
‘আরেক ইউনিয়নে আমি নির্বাচন করছি, নৌকা পাইছে ৭৯০ ভোট। চেয়ারম্যান হইছে ৪ হাজার ভোটে। সে রানিং চেয়ারম্যান ছিল নৌকার। আবার নৌকা পাইছে, ভোট পাইছে ৭৯০। জামানত বাজেয়াপ্ত’।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশে এ প্রথম অভিন্ন মানদণ্ডে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই মানদণ্ডে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জেলার ৫০ জন সার্কেল অফিসারের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হন কুমিল্লার দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।