রাজশাহীতে কয়েক দিন ধরে চৈত্রের খরতাপ বিরাজ করছে। বৃষ্টি ছাড়াই আষাঢ় শেষ হওয়ায় তীব্র গরমে জনজীবন হাঁসফাঁস করছে। এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছুঁইছুঁই করছে।
শুধু রাজশাহী নয়, আশপাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরসহ পুরো বরেন্দ্র অঞ্চল সমানভাবে আষাঢ়ের খরায় পুড়ছে। বৃষ্টিহীনতায় আমন রোপণ বিঘ্নিত হচ্ছে। পানির অভাবে আউশ ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আষাঢ় মাসে রাজশাহীতে মাত্র ৮ দিন বৃষ্টি হয়েছে। তাও বিক্ষিপ্তভাবে এবং কিছু সময়ের জন্য। এ ৮ দিনের মধ্যে ১৮ জুন সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে
৯ জুন রাজশাহীতে ৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বাকি দিনগুলোতে ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটারের ওপরে ওঠেনি বৃষ্টির পরিমাণ। অন্যদিকে শুধু বৃষ্টির পরিমাণ কম এমনটিই নয়, চৈত্রের তাপদাহে পুড়ছে আষাঢ়ের প্রকৃতি। দিন অথবা রাতে স্বস্তি মিলছে না।
টানা তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। বেলা গড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত নগরীর সড়ক থেকে শুরু করে গ্রাম জনপথ মাঠ-ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে।
আষাঢ়ে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় রাজশাহীর কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। তীব্র তাপদাহে আউশ ধান যেমন জমিতে শুকাচ্ছে তেমনি আমনের বীজতলাসহ অর্থকরী ফসল কপি ও অন্যসব সবজির বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পবা উপজেলার চাষি ইয়ামিন আলী জানান, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে কপির বীজতলা তৈরি করতে ২০ দিন পার হলো। এতো গরমে বীজতলা ভালো থাকে না। তীব্র তাপ একটু কমলে বীজতলা তৈরি করব। গরমে অনেকের বীজতলার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাষি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আর দুয়েক দিন দেখব।
না হলে এমন অবস্থাতেই বীজ ফেলতে হবে। কিছুই করার নেই। বৃষ্টির অভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের কোথাও আমন আবাদ শুরুই হয়নি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।