দীর্ঘ ১৮ বছর পর চট্টগ্রামের রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।
তিনি জানান, আইনি সকল প্রক্রিয়া শেষ হলে তাদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ফাঁসির রায় কার্যকর করার আগে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে কারাগারে আসেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এবং ১১টা ২৫ মিনিটে কারাগারে আসেন সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানের মৃত ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে শিপন হাওলাদার (বন্দি নং ৫০৭৯/এ) ও চট্টগ্রাম নগরের লালখান ডেবারপাড় এলাকার ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে নাইমুল ইসলাম ইমন (বন্দি নং ৫৭৩৮/এ)।
এর আগে, ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের ৩৬/এ বাসায় ঢুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী শফিউদ্দিনকে। শফিউদ্দিন স্থানীয় রেলওয়ে আমবাগান এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন কারণে রেলওয়ের জায়গা থেকে চার দফায় অবৈধ বস্তি ও কলোনি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এসব ঘটনার জের ধরে ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে ঘাতক দল।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় দুই ঘাতক শিপন ও ঈমনকে ফাঁসি, সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।