পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খালেদা জিয়া ও তার টিমকে যুক্তরাজ্য সফরে ভিসার বিষয়ে সরকার সহযোগিতা করবে। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে যাবেন, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নিচ্ছে, সফরে সে দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার সুবিধা নিশ্চিত করবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, জি তিনি চিকিৎসার জন্য যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যাচ্ছেন বলেই তো তাকে এবং তার টিমকে ভিসার ব্যাপারে সহযোগিতা করব। এটা আমরা করব। ওখানে যাওয়ার পরে আমার তো মনে হয় না তার কোনো সমস্যা হওয়ার ব্যাপার আছে। সেখানে তার নিজস্ব সংগঠন আছে, আমাদের মিশন আছে। যেটুকু নিয়ম অনুযায়ী করার আমরা অবশ্যই করব।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা- নিরীক্ষা চলছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে কথাবার্তা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হতাহত নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল প্রতিবেদন দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবেদন দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতি দ্রুত তাকে বিদেশে মালটি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। তারই অংশ হিসাবে আমরা ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টেওভারের পরে মালটি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করছি, সব কাজ সম্পন্ন করেই অতি দ্রুতই ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব।’