মানিক হোসেন: রাজশাহী প্রতিনিধি: সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, ডিম ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। তবে পন্যের মধ্যে শাক সবজি, মাছ ও মাংসের দাম কয়েক সপ্তাহ থেকে একই দাম রয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী নগরীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই ক্রমান্বয়ে চালের দাম বৃদ্ধি ছিল লক্ষনীয়। এ সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে।
মাস্টারপাড়ার সুমন স্টোরের মুদি দোকানী সুমন জানান, মিনিকেট চাল গত সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি ছিল। তা এ সপ্তাহে ৬৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য চালের মধ্যে আঠাশ ৫৬ টাকা, শরনা ৪৮ টাকা, জিরাশাইল ৬২ টাকা, বাসমতি ৭২ টাকা, পায়জাম ৭০ টাকা, কাটারিভোগ ৯০ টাকা, নাজিরশাল ৭০ টাকা, আউশ ৫০ টাকা, কাজল লতা ৭০ টাকা, ভাষামানিক ৬২ টাকা, খুদ ৫০ টাকা, বালাম ৬৫ টাকা, কালিজিরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনিগুড়া ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, রাধুনী ৮০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ ৭০ টাকা, তামরি আতপ ৬০ টাকা, শরনা আতপ ৫৫ টাকা, মোটা চাউল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
জান্নাত স্টোর থেকে মুরাদ নামের এক দোকানি জানান, মোটা মসুর ডাল গত সপ্তাহে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ সপ্তাহে ৫ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিনি ৭৬ টাকা, দেশি চিনি ৮২ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা, সোনা মুগ ১৩৫ টাকা , কালাই ডাল ১৩০ টাকা, অড়হর ডাল ২৪০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডিমের দাম যেখানে ২৯ থেকে ৩০ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে তা এখন ২ টাকা ৩১ থেকে ৩২ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের মধ্যে লাল ডিম ৩৪ টাকা, হাঁসের ডিম ৫৪ টাকা, মুরগীর ডিম ৫০ টাকা, কোয়েল পাখির ডিম ১০ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ভোজ্য তেলের মধ্যে ভালো সয়াবিন তেল গত সপ্তাহে ১৫৪ টাকা বিক্রি হয়েছে, এ সপ্তাহে ৪ টাকা বেড়ে ১৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের কেজিতে কেনা পড়ছে ১৫৮ টাকা, বিক্রি করছি ১৬০ টাকা করে। এ ছাড়া লুজ তেলের দাম ১৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।#
সবজির বাজারে দেখা গেছে পটল, ক্যাপসিকাম মরিচ ও সজনে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে । এছাড়া আলু ১২ থেকে ১৫ টাকা, শিম ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, লাউ ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, মটরশুটি ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বিট ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ডুমুর ৪০ টাকা, কেশর ৫০ টাকা, ওল ৮০ টাকা , মিষ্টি আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শাকের বাজারে পালঙ শাক ২০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা, ছোলার শাক ৫০ টাকা, খেসারি শাক ৪০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, টক পালঙ ৪০, পুদিনা ১০০ এবং ধনে পাতা ২০ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা, আদা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
বাজার করতে আসা রোহিত জানান, শাক সবজির বাজার এবং চালের দাম আমাদের জন্য ঠিক আছে। সমস্যা তেলের দাম নিয়ে। নতুন বছর পর থেকেই দাম একটু একটু করে বাড়ছে। এভাবে দাম বাড়লে বাজার করে খাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ২২০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছের বাজারে সরপুঁটি ১২০ টাকা, পুঁটি ১৫০ টাকা, মিড়কা ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, সিলভার ১২০ টাকা, বাটা ১৮০ টাকা, নাইলনটিকা ১৬০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা, বাগের হাটের চিংড়ি ৬০০, শোল ৬০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, আইড় ১০০০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, ঘ্যাড়া ১০০০ টাকা, বাইম ১০০০ টাকা, চিতল ৫০০ টাকা, দেশী চিংড়ি ৮০০ টাকা, ইলিশ ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।