কালের বিবর্তণে মানিকগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের ব্যবহার। অনেক আগেই প্লাস্টিকের দাপটে জেলা থেকে হারিয়ে গেছে বাঁশের তৈরী ঝুড়ি, জালি, সাজি, ডোলসহ অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। দখল করে নিয়েছে প্লাষ্টিক সামগ্রী। ইদানিং মাটি ধরে রাখার জন্যও ব্যবহার হচ্ছে পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বেড়া। যা মাটিতে কখনো পচে না।
এতে করে মাটির নিচে পরে থাকবে যুগের পর যুগ। এই প্লাস্টিকের কারণে মাটি হারাচ্ছে তার উর্বরতা শক্তি। সেই সাথে পরিবেশের উপর পড়ছে বিরুপ প্রভাব। এগুলি দেখার যেন কেউ নেই।
মানিকগঞ্জের ঘিওরের মোতালেব ও ঠান্ডু বলেন, আগে বাঁস বিক্রি করে আমাদের সংসার চলতো। চাহিদাও ছিল বেশী, দামও ভালো ছিল। দিন দিন বাঁশের চাহিদা কমে যাচ্ছে। প্রতিবছরই বাঁশের ঝার মেরে ফেলা হচ্ছে।
তারা আরোও বলেন, এখন শাক সবজির জন্য মাচা তৈরি করা হয় পাল্টিকের রশি দিয়ে। আগে বাঁশের নানাভিদ ব্যবহার ছিল। দিন দিন বাঁশের ব্যবহার কমে যাচ্ছে।
খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এম মুজিবুর রহমান কনক বলেন, মাটি ধরে রাখার জন্য যে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি। এখনই এর ব্যবহার বন্ধ করা উচিৎ। তা না হলে পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়বে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।