বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: শুধু মানুষকে মানুষ কোন অনুষ্ঠানে আত্মীয়তা বা আন্তরিকতায় পরিচিতজনকে আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণ করে। কিন্তু ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা প্রয়াত প্রশান্ত সাহার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে দেখা গেছে ভিন্ন ধরনের চিত্র। শ্রাদ্ধনুষ্ঠানে প্রশান্ত সাহার পৌরসদরে সরকারি কলেজ রোডের বাসভবন শর্বরী হাউজে চলছিলো এ অনুষ্ঠান।

গত শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরে বেড়ানো দলছুট একটি হনুমান ঢুকে পড়ে। সকল টেবিলে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ যখন খাওয়া-দাওয়া করছিলো তখন ফুল মজলিশে দলছুট এ হনুমানটি ঢুকে পড়ে। ৩-৪টা টেবিল পার হয়ে সোজা গিয়ে একটা টেবিলে উঠে বসে পড়ে। সবদিকে তাকিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই টেবিলে এক পাশে বসা অতিথিদের তিনজন প্লেট নিয়ে খেতে বসে পড়ে।

এ সময় ওই টেবিলে বসা আমন্ত্রিত অতিথিরা চেয়ার ছেড়ে ভয়ে উঠে পড়েন। অন্যান্য টেবিল থেকেও অতিথিরা গিয়ে এ দৃশ্য উপভোগ করেন। পরে প্রশান্ত সাহার স্ত্রী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিনু সাহা এবং তাদের ছেলের বৌ ডা. শ্রেয়া সাহা আরো ভাত, মাছ, মিষ্টি, দই নিয়ে দিলে খাওয়া শেষ করে জগ থেকে পানি খেয়ে কেতাদুরস্তভাবে মজলিশ ছেড়ে চলে যায় হনুমানটি। শ্রদ্ধানুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি লিয়াকত শিকদার, বোয়ালমারী পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপনসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।এ ব্যাপারে অধ্যাপক মিনু সাহা বলেন, এরকম দৃশ্য আমি প্রথম দেখলাম। এটা বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে। আমরা খুশি হয়েছি, যে বনের পশুও এসে আমার স্বামীর শ্রাদ্ধর খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট। এতে হয়তো আমার প্রয়াত স্বামীর মঙ্গল হওয়ার লক্ষণ।

খাবারের সময় টেবিলে বসা গনমাধ্যমকর্মী কাজী আমিনুল ইসলাম আমিন তা,? প্রতিক্রিয়ায় জানান, হয়তো হনুমানটির আমার প্লেটের খাবার পছন্দ হয়েছে তাই সে আমার প্লেটে খেতে শুরু করে। তবে আমার দৃষ্টিতে একটা বিষয় ধরা পড়েছে। আমি চিংড়ি মাছ খাইনা। তাই আমার প্লেটে চিংড়ি ছিলোনা কিন্তু অন্য সকলে প্লেটে চিংড়ি মাছ ছিলো। হনুমান হয়তো চিংড়ি মাছ পছন্দ করেনা তাই আমার প্লেটের খাবার তার পছন্দ হয়েছে। পরে আমি অন্য ভাবে খেয়ে নিয়েছি।