বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (বিএমটিটিআই) এর ৫১ তম বিষয় ভিত্তিক গণিত ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের কক্সবাজার ভ্রমণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯.০০ ঘটিকার সময় বিএমটিটিআই এর চত্ত্বর থেকে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকার দিকে জিয়া গেস্ট হাউজে পৌছায়। সেখান থেকে বিশ্রাম নিয়ে সবাই কক্সবাজারের ইনানি,হিমছড়ি, মহেশখালী সহ লাবনী ও সুগন্ধা নামক স্থান গুলো পরিদর্শন করে।

বিএমটিটিআই এর সম্মানিত অধ্যক্ষ, অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ্ আলমগীর মহোদয় এর তত্ত্বাবধানে কোর্স পরিচালক অমল কান্তি বড়ুয়া এর দিকনির্দেশনা এবং কোর্স সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম এর পরিচালনায় এ শিক্ষা সফরটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে কোর্স সমন্বয়ক প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী (১ জন অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত), ২ জন স্টাফ নিয়ে বুধবার রাতে শৌখিন পরিবহনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি এবং সেখানে এক রাত হোটেলে অবস্থান করে পরদিন শুক্রবার বিকালে আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিএমটিটিআই, গাজীপুর এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি এবং সফলভাবে ভ্রমণ থেকে ফিরে আসি। প্রশিক্ষণার্থীদের ক্লান্তি দূর করতে যাওয়া এবং আসার সময় মাঝপথে দুই দুই বার যাত্রা বিরতি দেওয়া হয়। ভ্রমণ থেকে সকলের মাঝে আনন্দ, উৎফুল্ল আর অজানাকে জানার আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

এ বিষয়ে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীর নিকট থেকে জানা যায়, তারা জীবনের প্রথম কক্সবাজার এসেছে। এতদিন নাম শুনেছি বিএমটিটিআইতে প্রশিক্ষিণ নিতে এসে সরকারের সহায়তায় এবার কক্সবাজার দেখা ও ঘুরা দুই টায় হলো। তারা বিএমটিটিআই এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানান। আরেকজন বলেন, অজানাকে জানার জন্য ভ্রমণের কোন বিকল্প নেই। সেটা যদি হয় কক্সবাজার তাহলে তো কথায় নেই।

পাশ থেকে অন্য জন বলে, কক্সবাজার ভ্রমণ স্বপ্নের মতো। নিজ চোখে না দেখলে বলে বুঝানো সম্ভব নয়।তরুণ এক শিক্ষক বলে, বাংলাদেশে থেকে কক্সবাজার না দেখলে জীবনের অনেক কিছু বাকি থেকে যায়।

এভাবে প্রত্যেকের মাঝে হাসি আনন্দ আর কৌতুহলী ভাব জেগে উঠতে দেখা গেছে। পরিশেষে সকলেই আবারও বিএমটিটিআই ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।