মোঃ তাহেরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি
:
নীলফামারীর ডোমারে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ঘরের বাসিন্দারা।

উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খাটুরিয়া ডাঙ্গাঁপাড়া দীঘিরপার এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৩৭টি পরিবার দৈনন্দিত চলাচলের রাস্তা না থাকায় এই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৭টি পরিবারসহ ৪৬টি পরিবার গত ৫মাস থেকে বসবাস করে আসছে।প্রকল্পের বাসিন্দারা মৃত কুদ্দুস আলীর জমির উপর দিয়ে চলাচল করে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রাস্তা ছাড়া ঘর নিবেনা এমন দাবী করলে, তিনি জানিয়েছিলেন ‘যে রাস্তা দিয়ে বর্তমানে আপনারা চলাচল করছেন সেই রাস্তা দিয়েই চলাচল করবেন। যখন রাস্তা বন্ধ করবে তখন জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নিব।’

হঠাৎ করে এক সপ্তাহ আগে জমির মালিক কৃদ্দুস আলীর মেয়ে উম্মে কুলছুম তাদের জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে অসুবিধায় পরেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। রাস্তা বন্ধ করার ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা তাদের ভ্যানগাড়ী ও অটো চার্জার ভ্যান নিয়ে বের হতে না পারায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।

আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ভ্যান চালক জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে ভ্যান বের করতে না পারায় পরিবারের ১২জন সদস্য নিয়ে এক বেলা খেয়ে দিন যাপন করছি। রাস্তা না থাকলে এই বাড়ীর কোন মূল্য নাই। আমাদের একটাই দাবী এখানে রাস্তা করে দেওয়া হোক।

সাদেকা নামে আর এক সুবিধাভোগী জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমার সন্তানরা মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা। স্বামী ভ্যান নিয়ে বাজারে যেতে না পারায় আমরা নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছি।

সুবিধাভোগী আলমগীরের মা তসকিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুশি করে আমাদের ঘর দিয়েছেন আমরা খুশি করেই তা গ্রহন করেছি। এখন রাস্তা না থাকায় আমরা ভোগান্তিতে পরেছি। যদি রাস্তা না থাকে তবে এই ঘর থেকে কি হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।