আকাশ রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে বড়দেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে। হামলার শিকার নুরনবির চাচা বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ শে মার্চ বড়দেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬ মার্চ উপলক্ষে এক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠান চলাকালীন নৈশ প্রহরী ফেরদৌস সহ মুরাদ, মন্টু ও রফিকুল ইসলাম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কথা কাটা হইলে উক্ত কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রহরীসহ ৪ জন মিলে আনুমানিক ৮ঃ৩০ মিনিটে হত্যা উদেশ্য বাঁশের লাঠি সহ এলোপাথাড়ি মারপিট করেন এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক জখম হয় ও মাটি পরে গেলে আরো বেশি এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারতে থাকে ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্র কে হুমকি দিয়ে বলে এই মারপিটের ফাস হলে বা কোথাও অভিযোগ করে প্রানে মেরে ফেলবে ও সে সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায় পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমীন, সাবেক ইউপি সদস্য আরফান আলী, ইউপি সদস্য ওসমান আলী ওহাব, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শহিদ, মাইনউদ্দীন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা হামলাকারীর শাস্তি এবং বড়দেশ্বরী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল এর অপসারণের দাবি তোলেন।
এদিকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম এবং বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল সেখানে বিদ্যালয়ের সভাপতি দেবাশীষ দত্ত সমীর উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে যা একটি বিছিন্ন ঘটনা এই বিষয় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনো আমাকে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি তবে আমি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ উদ্যোগে সমাধানের চেষ্টা করতেছি।
আজকে আরও সমাধানের জন্য বসার কথা ছিল কিন্তু আজকে আবার তারা মানববন্ধন করল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।