আকাশ রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় রুহিয়া থানাধীন মন্ডলাদাম গ্রামে সেনা সদস্য বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকা অবস্থান।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত (১ এপ্রিল) শুক্রবার বিকেলে ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের মন্ডলাদাম গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে সেনা সদস্য, ইব্রাহীম খলিলের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকা অবস্থান নেয়।

মেয়েটিদাবি করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সেনা সদস্য ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে যশোর ক্যান্টনমেন্টের চাকরিরত অবস্থায় দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঐ সেনা সদস্য বিভিন্ন সময় তার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে মেয়েটি সাংবাদিক সহ এলাকা বাসিকে জানিয়েছে।

মেয়েটির দাবি তাকে সেনা সদস্য বিয়ে করবে বলে ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে তাকে তার বাড়ীতে আসতে বলে। তার কথা মতো মেয়েটি সেনা সদস্যের বাড়ীতে আসলে ঐ সেনা সদস্য তার সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটানোর পরে পরিবারের চাপে কৈৗশলে বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্ম গোপনে করেন।

এ সময় মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং মেয়েটিকে বাড়ী থেকে জোর পূর্বক বের করে দেয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে মেয়েটি বাড়ীর উঠানে আশ্রয় নেয় এবং উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ সহ সাংবাদিকদের নিকট সুবিচার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করে।

এমতাবস্থায় ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিপ্রায়ে একটি স্থানীয় মহল বিভিন্ন ভাবে দেনদরবার চালায়। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় তাদের দেনদরবার সফলতার মুখ দেখেনি। অভিযুক্ত সেনা সদস্য ইব্রাহীম খলিলকে একাধিক বার কল করলে সে কল রিসিভ করেনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনার আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ঘটনা মেয়ের পরিবার থেকে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে নাই।

২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন বলেন, মেয়েটির বাড়ী যেহেতু ১নং রুহিয়া ইউনিয়নে সেহেতু আমি রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবুকে বিষয়টি জানিয়েছি। অভিযুক্ত সেনা সদস্য ইব্রাহীম খলিলের চাকুরি বিধি অনুযায়ী বিয়ের বয়স না হওয়ায় আমরা ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে দুই চেয়ারম্যান মিলে মীমংসার উদ্যাগ গ্রহন করেছি। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, বিষয়টি দেখতেছি।