সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা করে কমেছে।

এতে স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। সামনের দিনে দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) উপজেলার আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের পাকেরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি দোকানেই সবজির ভালো সররবাহ রয়েছে।

দাম কমায় দোকানগুলোতে বেচাকেনাও বেশ ভালো দেখা গেছে। শিম আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৮০ টাকা, মরিচ ১৫০ টাকা থেকে কমে ৩০-৩৫ টাকা,বাঁধাকপি ৭০ টাকা থেকে কমে ৩০-৫৫ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা,বেগুন ৪০ টাকা থেকে কমে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও মুলা ১০-১৫ টাকা, পটল ২২-২৫ টাকা,পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, লাউ ছোট বড় মানভেদে ১৫-২০ টাকা। অন্যদিকে আলু প্রকারভেদে ২২-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এখনকার সবজির বাজারে শীতকালীন শাকের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সরিষাশাক, পাট শাক,নাপা শাক, মুলাশাক,ধনেপাতা,লালশাক ও লাউশাক সহ আরও অনেক রকম। অনেক মানুষই দুপুরে খাবারের পাতে কোনো না কোনো শাকের তরকারি খেতে ভালোবাসেন। বাজারভেদে এক আঁটি শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়।

কয়েকজন শাক বিক্রেতা জানান, গত সপ্তাহে যে শাকগুলো ২০ টাকা বিক্রি করতাম, আজ ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করছি।


সবজি কিনতে আসা আলতাব হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি বিশেষ করে বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম আগে বেশি থাকায় কিনে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব ছিল। তবে এখন দাম কমেছে। ফলে আমরা শীতকালীন এই সবজির স্বাদ নিতে পারছি। দাম যদি আরও কমে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

সবজি বিক্রেতা আসাদুর বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই দেশের কিছু অঞ্চলের কৃষক বাড়তি লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করেছিলেন। সেসব শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দাম খানিকটা বেশি ছিল। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেত থেকে বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজি তুলতে শুরু করেছে। এসব বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বেশি গেলে দাম আরও কমবে।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তার বলেন, নির্দিষ্ট বাজার দরের মাধ্যমে প্রত্যেক বিক্রেতাকে সবজি বিক্রি করতে হবে।

তারপরেও কেউ যদি অহেতুক মূল্যবৃদ্ধি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।