আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আগামী ৬-ই জুলাই থেকে রাজধানীতে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। ঈদের দিনসহ মোট পাঁচদিন চলবে কোরবানির পশু বেচা-কেনা। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে এবার মোট ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। ইতোমধ্যেই রাজধানীতে হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। খাজনার স্থান, প্যান্ডেল, তোরণসহ মাঠের মধ্যে চলছে বাশের খুঁটি বসানোর কাজ। পুরোদমে কাজের গতিই বলছে, এবার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই হাটের কাজ সম্পন্ন করতে চান ইজারাদার।

জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটির ১৮টি হাটের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে ৮টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতায় বসবে ১০টি হাট।

দক্ষিণ সিটির অধীনে ১০টি পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে- আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা।

অন্যদিকে উত্তর সিটির অধীনে ৮টি হাটের মধ্যে রয়েছে-ভাটারা-সাইদনগর পশুর হাট, কাওলা-শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তরদিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই থেকে এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা এবং ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল-যমুনা হাউজিং কোম্পানির খালি জায়গা। এসব অস্থায়ী হাট ছাড়াও গাবতলী ও ডেমরার সারুলিয়ার স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে।

এদিকে কোরবানির পশু পরিবহনের লক্ষ্যে এবার ঈদে বিশেষ ‘ক্যাটল ট্রেন’ পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদের চার দিন আগে থেকে পশু পরিবহনের জন্য এই ক্যাটল ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জায়গার পশু ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচলা হয়েছে ট্রেনে পশু পরিবহনের জন্য। তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রথমে দুটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। তবে চাহিদা থাকলে আরো একটি ট্রেন চালু করা হবে।

জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার, ইসলামপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকায় আসবে ক্যাটল ট্রেন। পশু নিয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে দুপুর ৩টা ১৫ মিনিতে ট্রেনটি ছেড়ে এসে পরের দিন সকাল ৬টায় কমলাপুরে পৌঁছাবে। একটি ট্রেনে মোট চার শতাধিক পশু পরিবহন করা যাবে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির পশুর দাম বাড়ার শঙ্কা জানিয়েছেন পাইকাররা। তারা বলছেন, ইতোমধ্যেই গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবার ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দেয়ায় ওইসব এলাকার খামারিরা বিপদে পড়েছেন। যার প্রভাব কোরবানির বাজারে কিছুটা হলেও পড়বে।