রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফজলুল হক বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের বাকরুদ্ধ। তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, গাড়ি বন্ধ হচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধি করার কারণে আমাদের হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রচীন বাংলার প্রবাদে একটি কথা আছে, যদি কোনো পথের দিশারি না পেত তবে কী হবে? বলতো ওর হাতে হারিকেন ধরিয়ে দাও। বর্তমান সরকার এখন আমাদের কাছে হারিকেন ধরিয়ে দিচ্ছে।’
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি ও প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কুদরত-ই-জাহান বলেন, ‘আপনার উন্নয়নের চাপে আমার ফ্লাইওভার পড়ে মানুষ মারা যায়। উন্নয়নের চাপায় আমার তেল এখন ১৩৫ টাকা। আপনার উন্নয়নের চাপায় আমার ডিম এখন ১৪ টাকা পিস। তাকায় দেখেন আপনার জনগণ কী খায়।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন, গুম-খুন বন্ধ করুন, কথা বলার অধিকার আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন। আর তাই যদি না পারেন তবে এখনকার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খানের সঞ্চালনায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ফোরমের উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহেদ জামান, ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. তোফাজ্জল হোসেন, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক আমিনুল হক, অধ্যাপক সাবিরুজ্জামান সুজা, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অধ্যাপক মো. শেরেজ্জামানসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলমকথা/এসএইচ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।