নিখোঁজের আট দিন পর বাসায় ফিরেছেন ‘মোল্লার বই ডটকম’ এর সিইও মাহমুদুল হাছান। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি।

তকে এই কয়দিন তিনি কোথায় ছিলেন বা কেউ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কিনা তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি। এছাড়া তার পরিবারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মাহমুদুল হাছানের ভাই আহমদ জাফর তার ভাইয়ের বাসায় আসায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহমদ জাফর বলেন, রাত ২টার দিকে মাহমুদুল বাসায় আসেন।

তবে তিনি এই আটদিন কোথায় ছিলেন এবং কারা তাকে নিয়ে গিয়েছিল এখনো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। এখন তিনি ঘুমাচ্ছেন।
গত ১০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবপুর এলাকার বড় মাদ্রাসা মার্কেট থেকে মাহমুদুল নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন।

এর আগে পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন গ্রাহকের কিছু বই সরবরাহ করে বাসায় ফিরবেন। কিন্তু সেই রাতে আর ফিরে আসেননি। এরপর পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে অবশেষে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সেই জিডির সূত্র ধরে সেদিন থেকে তদন্ত করছিল পুলিশ। অবশেষে আট দিন পর তিনি বাসায় ফিরলেন।

মাহমুদুল যতদিন নিখোঁজ ছিলেন ওই সময়ে কয়েক দফা তার ফোন নাম্বার ব্যবহার করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করেছেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে তার মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। টাকা পাঠানোর জন্য তার বাবাকে একটি বিকাশ নাম্বার দেওয়া হয়েছিল। সেই ফোন নাম্বারের সিমের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী ঠিকানা বলা হয় ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়।

মঙ্গলবার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছিল, মাহমুদুল হাছান নিখোঁজ হওয়ার আগে এক ব্যক্তি তাকে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে কিছু বই কেনার জন্য কল করেন। এরপর থেকে ফোন নাম্বারটি বন্ধ ছিল।

তার স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন বই অর্ডার করার পর ওই ব্যক্তির ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সর্বশেষ ৯ জানুয়ারি সেই ফোন নাম্বারটি খোলা পাওয়া যায়। সেদিন মাহমুদুল হাছান ফোন করে সেই ব্যক্তির ঠিকানা নিয়ে তালিকা অনুযায়ী বই নিয়ে পরদিন সেগুলো ডেলিভারি দিতে রওনা হন। তবে সেই ঠিকানা অনুযায়ী তিনি যেতে পেরেছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।

মাহমুদুল হাছানকে যে ফোন নাম্বারটি দিয়ে কল করা হয়েছিল সেটির রেকর্ড বলছে শুধুমাত্র গত এক বছরে মাহমুদুল হাছানকে সেই ব্যক্তি ফোন দিয়েছেন আর কাউকে ফোন করেননি। ফলে সেই ফোন নাম্বারের রেজিস্ট্রেশন এবং ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে রহস্য।