স্বাধীনতার শেকড় সন্ধানে যশোরে শুরু হয়েছে ‘থিয়েটার ক্যানভাস’র নাট্যাভিযান। বুধবার সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মশাল জ্বেলে এবং একাত্তরের গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের নানা ইমেজ (দৃশ্য চিত্রায়ন) প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নাট্যাভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন…

স্বাধীনতার শেকড় সন্ধানে যশোরে শুরু হচ্ছে থিয়েটার ক্যানভাসের নাট্যাভিযান

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘থিয়েটার ক্যানভাস’র বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের ৫০টি গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের স্থানে ৫০টি নাটক নির্মাণ ও প্রদর্শনী নাট্যাভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে যশোর সদরের বাহাদুরপুর মেহগনী তলায় ‘রক্তিম মেহগনীতলা’ শীর্ষক নাটক মঞ্চস্থ করেছে থিয়েটার ক্যানভাস।

৫০টি গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের স্থানে মঞ্চস্থ হবে নাটক

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থিয়েটার ক্যানভাস’র পৃষ্টপোষক আব্দুল আফ্ফান ভিক্টর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনটির প্রধান সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন।

উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, গোলাম মোস্তফা, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ অর রশীদ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি শ্রাবণী সুর, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী শিম্বা, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্মসম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, যশোর ইনস্টিটিউটের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসু, অমল কুমার বিশ্বাস, সংস্কৃতিকর্মী প্রণব দাস, ছড়াকার রিমন খান, নারী নেত্রী অ্যাড. কামরুন নাহার কনা, মঞ্জুরুল আলম, নাট্যশিল্পী নাসির উদ্দীন মিঠু, কাজী ইসরাত সাহেদ টিপ, থিয়েটার ক্যানভাস’র উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান বাবুল, শিমুল রায়, সঞ্জিত সাহা,জহির ইকবাল নান্নু , সম্পাদক সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমুখ।


সঞ্চালনা করেন থিয়েটার ক্যানভাস’র সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ সংগঠক রোহিত রায়।

৫০টি গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের স্থানে মঞ্চস্থ হবে নাটক

উদ্বোধনী পর্ব শেষে মশাল জ্বেলে একাত্তরের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় একাত্তরের রণধ্বনী ‘জয় বাংলা’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণ।


স্বাগত বক্তব্যে ‘থিয়েটার ক্যানভাস’র প্রধান সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন জানান, বছরব্যাপী এ নাট্যাভিযানে যশোরের আট উপজেলার ৫০টি গণহত্যার স্থানে দুই দিন করে নাট্যকর্মীদের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসে তথ্য সংগ্রহ এবং নাটক নির্মাণ ও প্রদর্শন এবং ওই স্থানের শহিদদের প্রতিকী নামফলক স্থাপন করা হবে।

৫০টি গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের স্থানে মঞ্চস্থ হবে নাটক

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও আমাদের মহান বিজয় অনুধাবনে থিয়েটার ক্যানভাসের এই নাট্যাভিযান। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তৃণমূলে যে পশ্চাৎপদতা রয়েছে সেখান থেকে এক অভিনব জাগরণ ও বিপ্লব আনবে; এটাই প্রত্যাশা।