স্বাধীনতার শেকড় সন্ধানে যশোরে ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে থিয়েটার ক্যানভাস’র নাট্যাভিযান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের ৫০টি গণহত্যা ও যুদ্ধ জয়ের স্থানে ৫০টি নাটক নির্মাণ ও প্রদর্শন করা হবে।

রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নাট্যাভিযানের তথ্য উপস্থাপন করা হয় । এতে লিখিত বক্তব্যে ‘থিয়েটার ক্যানভাস’র প্রধান সম্পাদক কামরুল হাসান রিপন জানান , থিয়েটারকে উপজীব্য করে “থিয়েটার ক্যানভাস” নামে সাংস্কৃতিক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে ।

শিক্ষা ও সংস্কৃতির পূণ্যভূমি এই যশোবে থিয়েটার ক্যানভাসের এই সাংস্কৃতিক যাত্রার আরম্ভ মূলত যশোরের তথা বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য ঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া । বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ এক প্রজন্ম গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে থিয়েটার ক্যানভাস।

সম্প্রতি গণহত্যার উপর নির্মিত জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাটক ‘কংকাল ভূমি’তে থিয়েটার ক্যানভাসের ৮৯ জন নাট্যকর্মী অভিনয় করেছে। যারা এর আগে কখনও থিয়েটার করা তো দূরে থাক সাংস্কৃতিক অঙ্গনেই পা দেয়নি । অর্থাৎ একদম আনকোরা তরুণদের নিয়ে যশোরে প্রথিতযশা সাংস্কৃতিক বোদ্ধা,সংস্কৃতিজনদের নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে “থিয়েটার ক্যানভাস’।

তিনি জানান, বছরব্যাপী এ নাট্যাভিযানে যশোরের আট উপজেলার ৫০টি গণহত্যার স্থানে দুই দিন করে নাট্যকর্মীদের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসে তথ্য সংগ্রহ এবং নাটক নির্মাণ ও প্রদর্শন এবং ওই স্থানের শহিদদের প্রতীকী নামফলক নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, শিল্পের সবচেয়ে বড় মাধ্যম থিয়েটার সবসময় সত্য প্রচার করে, জীবনকে তুলে ধরে, ইতিহাস ঐতিহ্যকে মানুষের স্পর্শে আনে ।তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও আমাদের মহান বিজয় অনুধাবনে থিয়েটার ক্যানভাসের এই নাট্যাভিযান।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তৃণমূলে যে পশ্চাৎপদতা রয়েছে সেখান থেকে এক অভিনব জাগরণ ও বিপ্লব আনবে; এটাই প্রত্যাশা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিত্রকর মফিজুর রহমান রুননু, অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুণ অর রশীদ, নাট্যজন আব্দুল আফ্ফান ভিক্টর, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী শিম্বা, হাবিবুর রহমান মিলন, প্রণব দাস, নাসির উদ্দিন মিঠু, অমল কুমার বিশ্বাস, কাজী ইসরাত সাহেদ টিপ, হাবিবুর রহমান বাবুল, সনজিৎ সাহা, থিয়েটার ক্যানভাস’র সাংগঠনিক সম্পাদক রোহিত রায়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলি রহমান রাহাত, প্রচার সম্পাদক শেখ সাহিদ শ্রাবণ,দপ্তর সম্পাদক নিপা রায়,অর্থ সম্পাদক তুলি নন্দী ,তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আবির মাহমুদ, অনুষ্ঠান সম্পাদক জান্নাতুল করিম শুচি, সহ অনুষ্ঠান সম্পাদক সাদিয়া ইয়াসমিন আনিকা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তানজির রাশেদ,সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান নিশান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ অভি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূসরাত জাহান ঐশী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ঈশা আহমেদ শিপন, অনুরাগ অধিকারী প্রমুখ।