ব্রিকস জোটে যোগ দিতে এবং নতুন মুদ্রা গ্রহণ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত এই জোটে আরও দেশ যোগ দিতে পারে। এ বছরই জোটটি প্রসারিত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আরও দেশের জোটে যোগদানের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে নেওয়া হতে পারে।
ব্লুমবার্গের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক ডজনেরও বেশি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।

সম্প্রসারণের পরে জোট আরও শক্তিশালী হবে, কারণ তাদের জিডিপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এটি ডলার ও ইউরোকে পেছনের দিকে রাখতে পারে, কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলো মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা শেষ করতে পারে। সুতরাং এটা বলা যায়, ব্রিকস আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে একটি নতুন বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সূচনা করার জন্য অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।

সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য নতুন মুদ্রা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। যে দেশগুলো ব্রিকস জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে তারা হলো আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেলারুশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সেনেগাল, সুদান, সিরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়ে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচটি দেশ নিয়ে ব্রিকস। সুতরাং, মোট ৩০টি দেশ এখন মার্কিন ডলারকে এর বৈশ্বিক রিজার্ভ অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করছে।
যদি এতগুলো দেশ ডলার ত্যাগ করে এবং একটি নতুন মুদ্রা দিয়ে আন্তঃসীমান্ত লেনদেন শুরু করে, তবে তা মার্কিন ডালারের ওপর বড় আঘাত করবে। ডলার বিশ্বব্যাপী দুর্বল হতে পারে এবং এর ঘাটতি পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। শিগগিরই প্রকাশিত হওয়া ব্রিকস মুদ্রা আন্তর্জাতিকভাবে ডলারের আধিপত্য দূর করার ক্ষমতা রাখতে পারে।

যে দেশগুলো ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী তারাও তেল সমৃদ্ধ দেশ। সুতরাং, জোট ইউরোপীয় দেশগুলোকে তেলের জন্য নতুন মুদ্রা দিয়ে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করতে পারে, ডলার নয়। এই উন্নয়ন ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো সেক্টর প্রভাবিত হতে পারে।