সুন্দরী নারী দেখলে সেক্স করতে মন চায়। আকর্ষন লাগলে তো ক্ষয় হচ্ছে না। সেক্স করলে ক্ষয় হবে। যতজন মেয়েকে আকর্ষন লাগবে তার হাজার ভাগের এক ভাগ মেয়ের সাথে সেক্স করাও আপনার শরীরে কুলাবে না।

আকর্ষনকে সেক্সের সাথে গুলিয়ে ফেলা এটা চিন্তার ভ্রম। মস্তিষ্কের ভুল হিসাব। মস্তিষ্ক ভুল হিসাব গ্রহন করে উত্তেজনা পাঠায়। তাই আকর্ষন লাগলেই আসক্ত হয়ে পড়বে না। উপেক্ষা করিবে। এটাই বু্দ্ধের শিক্ষা ।

২) আসক্ত হওয়া খুব নিন্ম লেভেলের এনার্জি ও ক্ষয়। সোজা কথায় অজ্ঞান হওয়া। এতে ধৈর্য্য ও যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন হয় না। আসক্ত করা অপেক্ষাকৃত উপরের লেভেলের। মানে ধৈর্য্য প্রয়োজন। তবে তাহাও সাফারিং মুক্ত নয়। আর পুরোপুরি নিরাসক্ত হওয়া আরো উপরের লেভেলের এনার্জি।

মেয়েরা ছেলেদের আকৃষ্ট করে। যে আসক্ত/বশ/আকৃষ্ট করে তাকে জাগ্রত হতে হয়। আর ছেলেরা আসক্ত/বশ/আকৃষ্ট হয়। আকৃষ্ট হতে হলে অজ্ঞান হলেও চলে। যে মাছ ধরে সে জাগ্রত। সে দেখেই টোপ ফেলে। আর মাছ খাবার কর্তৃক আকৃষ্ট হয়। তখন মাছটি অজ্ঞান। সে না দেখে খাবার খেতে আসে।।

আর এতো দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ার কারন কি?

ক্রোধ, হিংসা অহংকারের তুলনায় কামাসক্তি সবচেয়ে বড় মানবিক দুর্বলতা। মেডিটেশন হলো বিবর্তনজনিত মানবিক ত্রুটি, আসক্তি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার উপায়।

যৌনতার ব্যপারে মনের উপর আমাদের তেমন নিয়ন্ত্রণ খুব স্বল্প কারন বিবর্তনীয় চাপ। আমাদের পূর্বপুরুষরা মেডিটেশন প্র্যাকটিস করে নি। মনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার উপায় মেডিটেশন।

যে আকৃষ্ট হয় সে টাকা দেয়,আর যে বা যা আকৃষ্ট করে তা টাকা নেয়। যেহেতু মেয়েরা আকর্ষন করে সেহেতু মেয়েরা বিনে পয়সায় রাজি হবে না। গাড়ি আকৃষ্ট করে তাই গাড়ির কিনতে টাকা লাগে। গাড়ির ক্রেতা আকৃষ্ট হয়। তাই টাকা দেয়।

সে হিসেবে আকৃষ্ট হওয়া নিন্ম লেভেলের এনার্জি ও ক্ষয়। আকৃষ্ট করা মানে গড়া। আকৃষ্ট হওয়া মানে ক্ষয়।

আরো হইবা আকৃষ্ট?? বাঁচার রাস্তা হলো নিরাসক্তি

আচ্ছা কেনই বা ছেলেরা না বুঝে এতো আকৃষ্ট হয়ে পড়ে?

ছেলেরা জন্মদান করে না, ছেলেরা গড়ে না, মায়ের আদরে ছেলেদের দেহ গড়ে উঠে। তাই ছেলেরা সেক্সে নিজেদের ক্ষয়ের কথাটি ভাবতে পারে না বিধায় ছেলেরা কামতাড়িত হয়। এটা ছেলেদের সবচেয়ে দুর্বল পয়েন্ট।

৩) মেয়েরা কেবল অবচেতনে নয় পরিকল্পিতভাবেও ছেলেদের আকৃষ্ট করার জাল পেতে রেখেছে।

ছেলেরা এমনিতেই আসক্ত হয় না। মেয়েরা ছেলেদের আসক্ত করে ছাড়ে। এমনিতেই মেয়েদের লোভাতুর প্রাকৃতির শরীর। তার উপর শরীরের অধিক যত্ন নেয়। এবং এমন ড্রেসআপ করে যে আসক্ত করেই ছাড়বে। কেননা উপযুক্ত ছেলেকে আকৃষ্ট করতে পারলে তাদের মাতৃত্বের কঠিন জীবনকে সহজ করে দিবে।

কিন্তু উপযুক্ত ছেলেকে আসক্ত করার আশায় বিবর্তন তাদেরএমনভাবে গড়েছে যে তারা ২৪ ঘন্টাই সেজেগুজে থাকতে পছন্দ করে

৪) মেয়েদের প্রতি মোহগ্রস্ততার অন্যতম কারন সেক্স পারভার্টেড (বঞ্চিত) হওয়া। ভোগের পরেই বৈরাগ্য আসে।

ভোগ করার পরেও অতিমাত্রায় অতৃপ্তি ও মোহগ্রস্থ থাকলে বুঝতে মানসিক আসক্তি জনিত সমস্যা। emotional attachment ( আবেগের সংযুক্তি)

আবেগের সংযুক্তি থেকে বিযুক্তি করতে মেডিটেশন করতে হবে। মেডিটেশনের কোন বিকল্প নেই৷

অবিদ্যার কারনেও মোহগ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু মাথায় ঢুকানোর চেষ্টা করতে হবে এটা আমাদের আবেগ। আমাদের দেহ নারীর সাথে মৈথুন, হস্তমৈথুন,সমকামিতা, টয়সেক্স কোনটাকেই আলাদাভাবে সনাক্ত (recognise) করে না। সব মনের আবেগ।

মানে আপনি ভাববেন না যে হস্তমৈথুন করে আপনার জীবন নষ্ট করে ফেলতেছেন৷ বরং ভাববেন জীবন মানেই পরিবর্তন। জীবন কতগুলি পরিবর্তনের সমষ্টি৷ জীবন হলো হস্তমৈথুন+নারী সাথে সেক্স করার সমষ্টি। সবসময় দিন একভাবে যায় না৷ তবে চায়নিজ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টে ভবিষ্যতে টয়সেক্সের কারনে হস্তমৈথুন করাটা আরাম দায়ক হবে৷ তখন নারীর প্রতি পুরুষের ব্যাকুলতা কিছুটা হলেও কমবে৷

আরেকটা কথা মনে রাখবা শুধুমাত্র হেটেরোসেক্স বাদে বাকি সবই মাস্টারবেটরি মানে হস্তমৈথুনের কাছাকাছি। নারী পুরুষ সেক্সও হস্তমৈথুনের মতোই। প্রার্থক্যটা এখানে একটু বেশি৷

you always listen to the mind. You never listen to the body. (Osho)
তবে আপনি সবসময় মনের কথা শুনেন। আপনি কখনই দেহের কথা শোনেন না। (ওশো)

নারী চাহিদা আপনার দেহের চাহিদা নয় মনের চাহিদা। দেহের জন্যে দরকার খাদ্য, ঘুম, মৈথুন৷

You don’t need to love anybody else. Anybody is not your body. Love your body.

কাউকে ভালোবাসার দরকার নেই। কারো দেহ তোমার দেহ নয়। তোমার দেহকে ভালোবাসো৷

মানুষের যৌন আকাঙ্খা দেখে মনে হয় সঙ্গী জোগাড় করতে মানুষ এ পৃথিবীতে এসেছে৷ ভুল৷ মিথ্যা মোহ।

তুমি বন্ধু বানাতে এ পৃথিবীতে আসো নি। বা কারোও বন্ধু হতেও আসো নি। তুমি এসেছো তোমার নিজের জীবন যাপন করতে।

অতিরিক্ত যৌন চাহিদা ও বাচ্চা উৎপাদন প্রকৃতির ফাদ৷ এ হতে যে বের হয়ে আসতে পারবে সে সুখি হবে৷

সেক্স হলো মনের খোরাক।তুমি মেয়ে হলে মেয়ের প্রতি আকর্ষন থাকতো না৷ আমি পুরুষদের ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করে মেয়েদের মতো বড় ব্রেস্ট লাগানোর সাজেশন দিবো না ইহা ক্ষতিকর৷ কিন্তু বিজ্ঞানীদের প্রতি অনুরোধ করবো এমন একটা external/বাহ্যিক ব্রেস্ট তৈরী করুক যাতে ইহা লাগিয়ে ছেলেরা কিছুটা মেয়েদের স্তনের অনুভূতি পায়। এতে ছেলেরা বুঝতে পারবে স্তন আকর্ষনীয় কিছু নয়। বরং মোহ। এবং অপ্রয়োজনীয় ও বাধা (unnecessary and painful obstruction)

ভগবান রজনীশ বলেনঃ

All that is great cannot be possessed – and that is one of the most foolish things man goes on doing. We want to possess.” — (Osho)

ভাবানুবাদঃ মহান কোন কিছুই নিজের করা যায় না। মানুষের সবচেয়ে বড় বোকামি হলো যে সে সবকিছু নিজের করতে চায়।

নারীদের প্রতি যে আকর্ষন তৈরি হয় তার ৭০% নিজের করতে চাওয়া (possess) থেকে হয়। মাত্র ৩০% সেক্সোয়াল আকর্ষন।