তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী  (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকায় ঢাকা-যশোর অভিমুখি ইউনিক পরিবহন ও ফরিদপুর অভিমুখি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫জনসহ নিহতের সংখ্যা ১৩ জন। এ আগে ঘটনাস্থলে ১১জন ও পরে চিকিৎসাধীন ৫জনের মধ্যে আরো দুইজনসহ মোট ১৩জন মারা গেছে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনজন।
দূর্ঘটনার খবর হাসপাতালে ছুটে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের এ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে শব্দ পেয়ে রাস্তায় দৌড়ে এসে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা দেখতে পাই। তবে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি নিহত ও আহতদের বাড়ি বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। এরমধ্যে আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ স্যারের মা, বড় মেয়ে, স্যারের ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ ৬জন সদস্য ছিলো। তাদের ৫জনই স্পর্টে মারা গেছে। ইউনিক পরিবহন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের দিকে যাচ্ছিল আর পিকআপ ভ্যানটি আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। তবে বাসের যাত্রীরা ভালো আছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহতের পর আহত অবস্থায় আরো ২জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।