মিরু হাসান বাপ্পী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিকান্দিতে মেহেদীকে(২৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায়  তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই মেহেদীকে হত্যা করেন তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার মৃত মোখলেছার রহমানের ছেলে শাকিব হাসান(২৪), সাবগ্রাম এলাকার ছালাম প্রাং এর ছেলে আপেল প্রাং(২০) এবং নারুলী মধ্যপাড়ার নুর আলমের ছেলে সোহেল রানা(২৩)। এদের তিনজনের বিরুদ্ধেই বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মেহেদীর ব্যবহৃত অটো রিকশা, সিমফনি মোবাইল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
এর আগে গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাটের সামনে যমুনার চর হতে মেহেদী হাসান(২৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মেহেদী গাবতলী উপজেলার সন্ধ্যাবাড়ী গ্রামের মুদি দোকানদার আনিছার রহমানের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান,  মেহেদীর পূর্ব পরিচিত গ্রেফতারকৃত আসামীরা আগেই তার রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেলোপাড়া চাষীপাড়া ব্রিজের উপর শাকিব মোবাইল ফোনে মেহেদীকে ডেকে নেয়। এরপর শাকিব এবং আপেল মেহেদীর রিকশায় উঠে এবং সাবগ্রামে যাওয়ার পর তারা সোহেলকেও তাদের সাথে তুলে নেয়।
পরে তারা মেহেদীকে নিয়ে সারিয়াকান্দি প্রেম যমুনার ঘাট থেকে নৌকা করে চর দীঘলকান্দিতে পৌঁছায়। সেখানে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মেহেদীকে ধারালো চাকু দিয়ে গলায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি ছুড়িকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
খুনীরা মেহেদীর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাটি নিয়ে বগুড়ায় চলে আসে। পরে ওই রিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করলেও না পেরে তারা শহরের চকসূত্রাপুর কসাইপাড়া এলাকায় রেখে দেন। পরে গ্রেফতারকৃত শাকিবের দেয়া তথ্যে রিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।