গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শ্বাসরোধে সুমাইয়া (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দুইদিন পর ঘরে খাটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী জসিমউদ্দিন প্রধানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে নিহতের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম।

গ্রেপ্তারকৃত জসিম জেলার কাপাসিয়া সদর উপজেলা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নিহত সুমাইয়া জেলার শ্রীপুর উপজেলার হায়াতখাঁর চালা গ্রামের জজ মিয়ার মেয়ে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জসিমের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে স্ত্রীর গলাটিপে ধরলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। জসিমকে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়ার সাথে পারিবারিকভাবে প্রায় এক বছর আগে জসিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এতে করে সুমাইয়া প্রায়ই বাপের বাড়ি চলে যেতো।

জসিমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সোনিয়া জানান, গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুমাইয়ার মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলার সূত্র ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। পরে জসিম স্ত্রী সুমাইয়া মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে বাড়ি আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে এবং স্ত্রীকে খুঁজতে থাকে। এরমধ্যে সুমাইয়ার মা মেয়েকে খুঁজতে একাধিকবার জসিমের বাড়িতে আসলে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে সেও শাশুড়ির সাথে সুমাইয়াকে খুঁজতে বের হয়। পরে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে তারা জসিমকে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে একান্তে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে সে হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করে ও তাদের সহায়তা চায়। এ সময় তারা জসিমের ঘরের খাটের নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে জসিমকে আটক করে কাপাসিয়া থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।