কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর আনিসুর রহমান ও সোনালী খাতুন। জাতীয় পরিচয়পত্রে দু’জনের পিতার নাম মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক। এমনকি মায়ের নাম ও ঠিকানাও অভিন্ন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি প্রাপ্তির লোভে নিজের স্ত্রীকেই বোন বানিয়েছেন রংপুর বেতারের অফিস সহায়ক আনিসুর। যদিও প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে আনিসুর ও সোনালীর রয়েছে তিন সন্তান।

জাতীয় পরিচয়পত্রের জালিয়াতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হুমকি দেন অভিযুক্তের ভাই। তিনি বলেন, এগুলো কোন বিষয়ই না। এটাতে কেউ কিছুই করতে পারবে না। যেমন আমার আইডি কার্ড দুইটা আছে, কোন সাংবাদিক, কোন সরকার আমার কিছু করতে পারবে, পারবে না। তার প্রমাণও আছে।

এমন প্রতারণাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এখানেই শেষ নয়, একই সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জোরে আনিসুর চাকরি করে রংপুর বেতারে। আর ভোটার আইডি এবং শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে রেলওয়েতে সরকারি চাকুরি নিয়েছেন ছোট ভাই আজিজুল। যা নিয়ে মামলাও করেছে নির্বাচন কমিশন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, মিস সোনালি খাতুন পিতামাতার অন্য নাম দিয়ে ভোটার হয়েছেন। এ বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করবো।

২০১৪ সালে এনআইডিতে তথ্য গোপন করে চাকরি করার সংবাদ গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। পরে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন দুই ভাইয়ের নামে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে মামলার নির্দেশ দেয়।

২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ার হোসেন তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতিতে জড়িত পরিবারটিকে আইনের আওতায় দাবী স্থানীয়দের।