নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মোঃ সোহাগ কাজী নামে এক যুবকের নামে পন্যোগ্রাফী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানা মামলা দায়ের করেছেন দুই সন্তানের এক জননী। যাহার মামলা নাম্বার ১২/১৪১.

ধর্ষক সোহাগ কাজী জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামে মৃত মুনছুর কাজীর ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়,ওই নারীর সুখের সংসারে ছিলো তার স্বামী ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি রত, এক কন্যা সন্তান মিম, ও গর্ভের ভ্রুন, এদেরকে নিয়ে জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে ছিলো তাদের সুখের সংসার,ওই নারী তার মেয়ে কে সিডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনা, নেওয়া করতেন, ওই সময় চাচই গ্রামের মোঃকাশেম কাজীর মেয়ে শিরিনা খানম এর সাথে পরিচয় হয় এবং গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তার মোবাইল নাম্বার টা নেয় শিরিনা,এরপর তার থেকে তার চাচাতো ভাই সোহাগ কাজী মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোন করে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করে ওই নারীর সাথে।

এরপর তার নাম্বার সোহাগ কিভাবে পেলো জানতে চাইলে তিনি বলেন শিরিনার থেকে নিয়েছি।

আরও জানা যায়, সোহাগ বিভিন্ন সময়ে ফোন করে তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুকর্মের প্রস্তাব দিতেন।

তখন সে রাজি না হলে তার কন্যা মিম কে অপহরণের হুমকি দেয়।এর ১৫/ দিন পরে সোহাগ ও একই গ্রামের আকবর শেখ এর ছেলে নয়ন শেখ কে মোটরসাইকেলে নিয়ে ওই নারীর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তার সাথে বাইরে গিয়ে দেখা না করলে তার মেয়ে মিম কে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

হঠাৎ ২৫/১০/২০১৯ তারিখে সোহাগ কাজী ওই নারীকে ফোন করে জানান রাতে দেখা করতে আসবেন,
এবং বলেন এবিষয়ে কেউ কে বললে আমার মেয়ে মিম কে অপহরণ করবে এবং আমাকে এ্যাসিড মারবে ভয়ভীতি দেয়।এরপরে সোহাগ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তার মেয়ে ও তাকে মারবে বলে প্লাস্টিকের বোতল বের করে।তখন ওই নারী চুপকরে থাকলে তাকে জোর করে পাশের ঘরে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে।

এসময় সোহাগের মোবাইলে ওই ভিডিও ধারণ করে চলে যায়, এর ১০ থেকে ১২ দিন পরে সোহাগ তার ফোন থেকে ওই ভিডিও নারীর মোবাইল ফোনের ম্যাসেনজারে পাঠিয়ে তার সাথে আবার শারিরীক সম্পর্ক না করি ওই ভিডিও স্বামী এবং অন্য মোবাইলে ছেড়ে ভাইরাল করবে বলে জানান।

এরপর থেকে সোহাগ তার সুবিধামতে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়,তখন ওই নারী গর্ভবতী ছিলেন কিন্তু রেহাই পাননি সোহাগ এর নজর থেকে,একসময় সে আমার গর্ভের সন্তান তার বলে দাবি করে সেটা অশিকার করলে তার স্বামী ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি রত কে মোবাইলে ওই ভিডিও পাঠিয়ে দেয়, ২৭/২/২০২১ তারিখে ওই নারীর স্বামী তার বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়, এবং ১৪/৩/২০২১ তারিখে তার স্বামী তাকে তালাক প্রদান করেন।

এইটাকে পুঁজি করে সোহাগ ওই নারী কে দিয়ে তার তালাক প্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে ১ এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়, এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্লাকমেইল করে তার কাছে থাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আরও নগদ টাকা ও নিয়ে নেয়।

এসব সোহাগ কেনো করছেন জানতে চায় ওই নারী, তখন সোহাগ তাকে বিবাহ করবেন বলে আশ্বাস দেন।

এরপরে ওই নারী কে, লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তার পূর্ব পাশে আলমগীর সিকদারের বাড়িতে ২ মাস ধরে নিয়ে ভাড়া থাকেন,এবং তাকে বিবাহ না করে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে, এবং আরও টাকা দাবি করে।

টাকা নাই বলে সোহাগ কে জানাই ওই নারী ২২/জুলাই রাতে সোহাগ ওই নারীকে জোর করে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওই নারীকে মারপিট করে চলে যায়,এবং তার ছবি,ভিডিও, নেটে ছেড়ে টাকা আয় করবে বলে ও জানান।

এঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ৩জন কে আসামি করে লোহাগড়া থানার ২৩ জুলাই লিখত এজাহার দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে সোহাগ কাজী পলাতক আছে বলে জানা যায়,

এঘটনায় সোহাগ কাজীর সাথে ম্যাসেনজারে যোগাযোগ করে কথা হলে তিনি বলেন ওই নারী আমার বউ, আপনারা এসব নিয়ে নিউজ কইরেন না,আমরা থানায় কাবিননামা কাগজ পাঠিয়েছি,মিমাংসা করে নিবানি,এবং আপনাদের ও মিষ্টি খাওয়াবানি, খালিখালি এসব নিয়ে কিছু কইরেন না বলে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে মামলার বিষয় টা তিনি নিশ্চিত করেন সাংবাদিকরা।