জমিজমার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টায় নাহিদ(৪০) আত্মগোপন করেছিলো ঢাকা। বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারী) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম অটো চালক নাহিদ কে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, নিখোঁজ হওয়া ব্যাক্তির নাম শাজাহান আলী ওরফে নাহিদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ঈশ্বরকুল এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গার শ্বশুর বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বাহিরে বের হওয়ার পর শাজাহান আলী নাহিদ নিখোঁজ হয়। অনেক খুজাখুজি পর স্বামীকে না পেয়ে পরের মাসের ৮ এপ্রিল স্ত্রী মতিয়া বেগম লালমনিরহাট সদর থানায় স্বামী নিখোঁজের একটি সাধারন ডায়েরী করেন। নিখোজ হওয়ার কয়েকদিন পরে তার গ্রামের বাড়ির পাশ থেকে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া জামা ও লুঙ্গি স্বামী শাজাহানের বলে সনাক্ত করেন তার স্ত্রী মতিয়া। ওই সময় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বেশ কিছু পত্রিকায় প্রচারিত হয়েছিল। এর পর এলাকায় সোরগোল পরে শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। দি
দীর্ঘ তিন বছর পর নিখোঁজ হওয়া সেই নাহিদকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তাকে লালমনিরহাট জেলার প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড় থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে প্রসংশায় ভাসছে সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আজ থেকে তিন বছর আগে নিজে থেকে আত্মগোপন করেছিলেন শাজাহান আলী নাহিদ। গতকাল বুধবার রাতে মিশনমোড় চত্বর থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, তিন বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শাজাহান আলী নাহিদকে গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।