বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বায়েজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আসাদুল ইসলাম (৫২) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন পাঁচউলিপুর এলাকার মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই জানান, আসাদুল ইসলাম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাহাদুরপুর তুলসীভিটা এলাকার ফিরোজের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকে স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।

গত ৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে তার ছেলে মো. নয়ন মিয়াকে (১২) তুরাগ নদীতে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আঙ্গুটিয়াচালা এলাকায় নিয়ে যায় নয়নের বন্ধু প্রতিবেশী সেজু (২৫), আনন্দ (২১), বাবলু মিয়া (৪২) ও শাহীন হোসেনসহ (১৯) কয়েকজন যুবক। সেখানে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় নয়ন। পরে সন্ধ্যায় তার লাশ ওই নদী থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে নৌকা থেকে নদীতে ফেলে দিয়ে যুবকদের বিরুদ্ধে নয়নকে খুন করার অভিযোগ করেন নিহতের বাবা আসাদুল ইসলাম। নয়ন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রতিপক্ষ সুজন মাহমুদ ও আলমগীর হোসেন সমর্থকদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিন, আসাদুল ইসলামের প্রতিপক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকায় সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়। ওই সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে আসাদুল ইসলামকে স্থানীয় আলমগীর হোসেন তার বাড়ির উঠানে তাকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আলমগীর ও মোজাম্মেল বেপারী ও হবি বেপারীসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে আসাদুলের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা আসাদুল ইসলামকে মারধর করে। এতে আহত হয়ে আসাদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে আসাদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এস.আই সৈয়দ বায়েজিদ আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের চোখের পাশে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।