অংশীদারি ব্যবসায় কি (what is partnership business in Bengali), অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।

অংশীদারি ব্যবসায় কি?
Partnership Business meaning in Bangla.
আমরা জানি ব্যবসা অনেক ধরণের হয়ে থাকে। বিশেষ করে মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসার অনেক প্রকারভেদ দেখা যায়।

আর, এই মালিকানার ভিত্তিতে করা নানা ধরণের কারবারের মধ্যে অংশীদারি ব্যবসা বেশ প্রচলিত ও জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে পরিচিত।

আর, আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হল এই অংশীদারি ব্যবসায় মানে কি ? এবং, এই ধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রে আমরা কি ধরণের সুবিধা বা অসুবিধা দেখে থাকি, তা এই আর্টিকলে আমরা জেনে নেবো।

আসলে, ইংরেজিতে যাকে আমারা জানি পার্টনারশিপ বিজনেস (partnership business) নামে, তাই-ই বাংলাতে অংশীদারী কারবার বা অংশীদারী ব্যবসায় নামে পরিচিত।

ব্যবসা কি এবং কত প্রকার ?
ব্যবসা করার টিপস, কৌশল এবং নিয়ম
আসুন আমরা প্রথমে জানি, যে অংশীদারী ব্যবসা বলতে কি বুঝায়।

অংশীদারি ব্যবসায় কি / অংশীদারি ব্যবসায় সংজ্ঞা:
সংজ্ঞা অনুযায়ী, চুক্তির মাধ্যমে দুই বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ যখন মুনাফা লাভের আশায়, বৈধভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যে ব্যবসার প্রতিষ্ঠা করে, তাকেই আমরা অংশীদারি ব্যবসায় বলে থাকি।

বাণিজ্য জগতের তৈরী করা নিয়ম অনুসারে, একটি অংশীদারি কারবারে কম করে দুইজন ব্যক্তি ও সবথেকে বেশি কুড়ি জন ব্যক্তির অংশীদারি থাকা বাঞ্চনীয়।

ভারতীয় পার্টনারশীপ আইন ১৯৩২ অনুযায়ী এই ধরণের মালিকানাটিকে আইনিভাবে স্বীকৃত করা হয়।

এই আইন অনুসারে, একক ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত একটি ব্যবসা থেকে যখন একসাথে অনেক ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ অবস্থায় মুনাফা লাভ করে, তখন সেই ব্যক্তিদের মধ্যে এক চুক্তিবদ্ধ সম্পর্ক তৈরী হয়।

আর, তাদের এই চুক্তির মাধ্যমে যে ব্যবসা চলে, তাই-ই আসলে হল এই অংশীদারি ব্যবসায়।

অর্থাৎ, যদি দুই বা তার থেকে বেশি সংখ্যক ব্যক্তি বৈধভাবে ব্যবসার থেকে প্রাপ্ত লাভ ভাগ করে নিয়ে ব্যবসা চালাতে থাকেন, তবে তা আইনিভাবে অংশীদারি ব্যবসা হিসেবে গণ্য করা হবে।

এবার আলোচনা করা যাক, এই ব্যবসার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে-

অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য:
এই ধরণের ব্যবসার বেশ কতকগুলো স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই ব্যবসাকে একমালিকানাধীন বা যৌথ মালকানাধীন ব্যবসা থেকে পৃথক করে।

সেই বৈশিষ্ট্যগুলো হল –

১. একের অধিক সদস্য সংখ্যা:
এই ব্যবসায় সবসময় একের বেশি অংশীদারের উপস্থিতি থাকা একান্তভাবে জরুরি।

যেহেতু, এই ব্যবসার প্রথম সূত্রই হল অংশীদারিত্ব, তাই এই ক্ষেত্রে কম পক্ষে দুই জন ব্যক্তির অংশীদারিত্ত্ব থাকতেই হবে।

২. অংশীদারের সংখ্যার সীমাবদ্ধতা:
সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বাধিক ২০ জন নিয়েই এই অংশীদারি ব্যবসায় গড়ে উঠতে পারে।

সদস্য সংখ্যা এর থেকে বেশি বা কম হলে, তা কিছুতেই অংশীদারি কারবার হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না।

৩. চুক্তির প্রয়োগ একান্ত প্রয়োজনীয়:
চুক্তিই হল অংশীদারি ব্যবসার মূল ভিত্তি। কোনোরকম কোনো চুক্তি না থাকলে এই ধরণের ব্যবসার কোনোরকম অস্তিত্ব থাকে না।

এই ব্যবসায় বেশ কয়েক ধরণের চুক্তির প্রয়োগ দেখা যায়।

এগুলো হল- মৌখিক, লিখিত, উভয় লিখিত ও মৌলিক।

এই চুক্তিগুলো নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত হয়ে থাকে। এই ব্যবসায় যে লিখিত চুক্তি থাকে, তাকে deed বলা হয়ে থাকে।

৪. পরিচালনার দায়ভার:
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউই এই ব্যবসার অংশীদার হতে পারে এবং এই ধরণের ব্যবসা পরিচালনার কাজে সব অংশীদারই স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করতে পারলেও, এই অংশীদারদের মধ্যে একজনের দ্বারাই সম্পূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করা হয়ে থাকে।

৫. মূলধন সংক্রান্ত নিয়মাবলী:
যেহেতু এই ব্যবসা চুক্তি নির্ভর। তাই, চুক্তিতে বিনা-মূলধনে অংশীদার হওয়ার শর্ত দেওয়া থাকলে, পুঁজি বিনিয়োগ না করেও সেই ব্যবসার অংশীদার হওয়া সম্ভব। এছাড়াও, চুক্তি অনুসারে ব্যবসার সূচনার সময় ও ব্যবসা চলাকালীন অংশীদাররা তাদের মূলধন বিনিয়োগ করে থাকেন।

৬. লাভ-ক্ষতির বাঁটোয়ারা:
চুক্তি অনুযায়ী এই ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির অনুপাত সমানভাবে সব অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।

তাছাড়াও, চুক্তিতে যে পরিমাণ লাভ-লোকসান বন্টনের হিসেব লেখা বা বলা থাকবে, সেই অনুযায়ীই প্রত্যেকে লাভ বা ক্ষতির অংশ ভাগ করে নেবে।

৭. বিশ্বাসের ভিত্তি:
অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এই কারণেই, প্রতিটা অংশীদারদের একে অপরের উপর বিশ্বাস রেখে চলতে হয়।

এই ধরণের ব্যবসার উন্নতি, সফলতা-ব্যর্থতা সমস্ত কিছুই নির্ভর করে থাকে এই বিশ্বাসের উপরই।

৮. দায়:
লাভ-ক্ষতির ভাগিদার যেমন কম-বেশি সবাই থাকে, তাই অংশীদারি কারবারেও দায় থাকে অসীম।

ব্যবসায় দায় বর্তায় ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে প্রতিটা অংশীদারের ক্ষেত্রে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি ব্যবসায় কোটি টাকার দায় তৈরী হয়, আর সেই দায় পূরণে কোনো অংশীদার অসমর্থ হলে, বাকি অংশীদারদের দ্বায়িত্ব নিয়ে সেই দায় মেটাতে হয়।

৯. রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধীকরণ:
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন করা একেবারেই বাধ্যতামূলক নয়।

তবে, রেজিস্ট্রেটেড ব্যবসা হলে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু, ব্যবসা নিবন্ধকরণ করা হলেও সেই ব্যবসার কোনো লিগাল এনটিটি বা আইনগত স্বত্বা থাকে না।

সেই কারণেই, অংশীদারি ব্যবসায় দেনা-পাওনা নিয়ে ঝামেলা হলে, অংশীদারদের উপরই সরাসরি নালিশ বা মামলা দায়ের করার ব্যবস্থা রয়েছে।

১০. ব্যবসা খারিজের অধিকার:
যদি কারণে এই কারবারে অংশীদারদের মধ্যে বিবাদ-বচসা, অবিশ্বাসের পরিস্থিতি তৈরী হয়, তবে সেক্ষেত্রে ব্যবসার অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যেতে পারে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধা:
এখন প্রশ্ন হল, অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি হতে পারে ? চলুন প্রথমে আমরা ব্যবসার সুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করে নেই।

অনেক সময়ই দেখা গেছে, যে একক মালিকানাধীন ব্যবসাতে মূলধনের টানাটানি পড়ে যাওয়াতে ব্যবসা অনেকসময়ই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তাই, অনেক ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যবসার ফিল্ডে নতুন হলে, অংশীদারি বিজনেস হল একটা ভালো উপায়।

একক মালিকাধীন ব্যবসার তুলনায় অংশীদারি ব্যবসায় বেশ অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে, সেগুলো হল-

১. অধিক মূলধনের সংস্থান:
এই ব্যবসার সবথেকে বড় সুবিধা হল অধিক মূলধন জোগাড়ের ব্যবস্থা। সবসময়ই দুই বা ততোধিক অংশীদার থাকায় পুঁজি জোগাড় করা অংকটাই সহজ হয়।

২. গঠনের সহজতা:
এই ব্যবসায় যেহেতু নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক নয়। সেক্ষেত্রে, কয়েকজন অংশীদার মিলে সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারে। নিজেদের মধ্যে সঠিক মধ্যস্থতা ও বিশ্বাস গড়ে উঠলেই অংশীদারি ব্যবসায় সফলতা পাওয়া যায়।

৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা:
একের চেয়ে বেশি দুই মাথার কাজ। অর্থাৎ, দুইয়ের বেশি লোক নিয়ে এই ব্যবসা চালানো হয়।

তাই, কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সমস্ত অংশীদার মিলেই সুচিন্তিত মতামত দিতে সক্ষম, যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়ে থাকে। তাই, সেক্ষেত্রে ব্যবসার ব্যাপারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে, তা এই ব্যবসায় যথেষ্ট কার্যকরী।

৪. পরিচালনায় দক্ষতা:
এই ব্যবসায় নানা ধরণের মানুষ যুক্ত হতে পারে। এছাড়াও, প্রতিটি অংশীদার বিভিন্নদিকে অভিজ্ঞ হতেই পারেন।

তাই, অংশীদারি কারবারে ব্যবসায়ীরা দক্ষ ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হয়ে থাকেন।

৫. ঋণ লাভের সুবিধা:
ব্যাঙ্ক বা কোনো আর্থিক সংস্থান ঋণ দেওয়ার আগে যাচাই করে যে সেই ব্যবসা ঋণ ফেরত দিতে সক্ষম কিনা।

সেদিক থেকে দেখতে গেলে একক মালিকানাধীন ব্যবসা নির্ভর করে কেবল একজন ব্যক্তির উপর আর সে ব্যক্তি একা ঋণ পরিশোধ করতে অনেক সময় ব্যর্থ হতেই পারেন, যেহেতু তার কাছে বিকল্প আর্থিক সংস্থানের পথ অনেকটাই কম থাকে।

অন্যদিকে, অংশীদারি ব্যবসায় অনেক অংশীদার থাকতে পারে, তাই সেখানে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি থাকে।

তাই যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদানের ব্যাপারে অংশীদারি ব্যবসাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

৬. দলগত প্রয়াস:
একটি পার্টনারশীপ ব্যবসায় প্রতিটি অংশীদারই সমান অধিকারের দাবি রাখতে পারে।

প্রতিটি অংশীদারই সেই ব্যবসার মালিক ও ব্যবসা পরিচালনার জন্যে দায়ী থাকে।

৭. ঝুঁকি ভাগ করা:
লাভের মতো ক্ষতির ভাগটাও সব অংশীদারের মধ্যে ভাগ হয়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত ক্ষতির সুযোগ অনেকটাই কম।

৮. চুক্তির নমনীয়তা:
অংশীদার ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে চুক্তির পরিবর্তন করা সম্ভব।

চুক্তির ধারাগুলো বিভিন্ন অংশীদারদের পরামর্শক্রমে সহজেই পাল্টানো যায়।

তাই, পরিস্থিতি অনুসারে ব্যবসার চুক্তিতে পরিবর্তন করলে পরিস্থিতির সাথে চট করে মানিয়ে নেওয়াও সম্ভব হয়। এর ফলে, সামগ্রিকভাবে ব্যবসার উন্নতিসাধন সম্ভবপর হয়।

অংশীদারি ব্যবসায় অসুবিধা:
মনে রাখবেন, অনেক ব্যবসার মতো এই পার্টনারশীপ বিজনেসের বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

যেহেতু, এই ব্যবসাতে নিবন্ধিকরণে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেই কারণে এই ব্যবসাতে অনেক ধরণের ফাঁক থেকে যায়। যার থেকে পরে নানা আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতেই পারে। আর, অংশীদারি ব্যবসা মূলত চলে বিশ্বাসকে ভিত্তি করে।

তবে, এই বিশ্বাস যেকোনো মুহূর্তে টলে যেতে পারে আর ব্যবসায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, অংশীদারি ব্যবসায় বেশ অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে, সেগুলো হল –

১. বিশ্বাসের অভাব:
বেশিরভাগ পার্টনারশিপের ব্যবসার বিলোপসাধন হয় বিশ্বাসের অভাব থেকেই।

আর, এই ব্যবসায় অংশীদারদের নিজস্ব আইনত স্বত্বা বলে কিছু না থাকায় অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব প্রবলভাবে ধরা পড়ে যায়।

২. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বতা:
অনেক অংশীদার একত্রে মতামত প্রকাশের পর যেহেতু ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাই অনেক সময়ই সবার থেকে সম্মতি পেতে পেতে অনেকটা সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করতে হয়। যা ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেকটাই ক্ষতি করে থাকে।

৩. গোপনীয়তার ঘাটতি:
অংশীদারি ব্যবসাতে বারো-পাঁচজনের মতামত নিয়ে চলতে হয়, সে কারণে এখানে ব্যবসার গোপনীয়তা অনেকটাই কম।

৪. অস্থায়ী অংশীদারিত্ব:
সব অংশীদারদের মনোভাব কোনোদিনই সমান হয়না।

এই কারণে অনেকসময়ই এদের মধ্যে মতামত নিয়ে দ্বন্দ-বিবাদ, টাকার টানাটানি, অবিশ্বাস লেগেই থাকে।

এর ফলে অনেক অংশীদাররাই মাঝপথে ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

৫. অসীম দায়:
অংশীদারী কারবারে অংশীদারদের দায় অপরিসীম, যা তাদের মূলধন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি পর্যন্ত এসে থামে।

এই কারণে, এই ব্যবসায় বেশিরভাগ সময়ই অংশীদার পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে।

৬. মালিকানা হস্তান্তর করা যায় না:
শেয়ার মার্কেটের মতোই এখানেও যখন খুশি তখন মালিকানা বেচে দেওয়া যায় না। তাই, অনেকেই এই ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন না।

শেষ কথা:
এই ধরণের ব্যবসার নানান প্রকারভেদ রয়েছে। তবে, মেডিকেল প্রফেশনাল, কন্সালটেন্সি, ব্যাঙ্কিং, এডভোকেটিং ও নানা ধরণের সেক্টরে এই রকমের অংশীদারি ব্যবসা দেখা যায়।