ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে এ কর্মসুচি পালিত হয়।

 

কর্মসুচিতে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ লিটু, সহ-সভাপতি হাসিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির হোসেন বাচ্চু, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মজিবর রহমান,সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান বকুল, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি তানভির হাসান তানু, নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভ, আজকের প্রত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আল মামুন জীবন, দৈনিক কলম কথা প্রতিনিধি, মোঃ আল-আমিন,সাবেক জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু মহিউদ্দিন, ঠাকুরগাঁও রোড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল করিম, বাংলাদেশ সাম্যবাদি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মাহবুব আলম রুবেলসহ অনেকে।
এসময় তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যখন সত্য ঘটনা তাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরেন তখন কিছু দূর্নীতিবাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করে দাবিয়ে রাখতে চায়।
গত ৫ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের খাদ্য সরবরাহ নিয়ে অনিয়মের কথা তুলে ধরলে তদন্ত ছাড়াই হাসপাতালের তত্বাবধায়ক নিজেই বাদি হয়ে সাংবাদিক তানু, লিটু ও রহিম শুভর নাম উল্লেখ্য করে ডিজিটাল আইনে মামলা করেন। যদি মামলা করতেই হয় তাহলে মামলাটি করার কথা ছিল সংশ্লিস্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা না করে ঠিকাদারকে বাচাতে মামলা করা হয়েছে সাংবাদিকদেও বিরুদ্ধে। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ সারাদেশে যেসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা দাবি জানান। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচি পালন করা হবে। সেই সাথে হাসপাতালে যারা এই দূর্নীতির সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে দূর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক নেতারা।
মানববন্ধনে জেলার সংবাদকর্মীরা ছাড়াও লেখক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আইনজীবীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।