আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১৪ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। আজকের দিনটি সময়ের হিসাবে অতি অল্প সময়।


আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনেই ঘটেছে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অনেকের আজ জন্মবার্ষিকী আবার কেউ মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই দিনেই। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক আজকের দিনের ঘটে যাওয়া

ঘটনাবলি:

◾১৫০৩- ক্যারিগনিয়ানোর যুদ্ধে স্পেনের কাছে ফ্রান্স পরাজিত হয়।
◾১৯১১- খান সাম্রাজ্য থেকে মঙ্গোলিয়ার স্বাধীনতা লাভ।
◾১৯৪০- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লন্ডনে বিমান হামলায় সেকেন্ড গ্রেট ফায়ার লন্ডন সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় ২০০ সাধারণ মানুষ নিহত হন।
◾১৯৭২- ভারতের কলকাতায় প্রথম মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
◾২০০৪- বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক যাত্রা শুরু করে।

জন্ম:

◾১৮৪৪- ভারতীয় ব্যারিস্টার,ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
◾১৮৬৩- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী।
◾১৮৭৩- সাহিত্যিক, সংগীত শিল্পী ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী।
◾১৯১৪- বাংলাদেশি প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
◾১৯৪২- ভারতীয় ফিল্ম তারকা রাজেশ খান্না।

জয়নুল আবেদীন

বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহুকুমার(বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা) কেন্দুয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন। তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী,গুণটানা, নাওর ইত্যাদি। ১৯৭০ সালে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি নবান্ন। পাকিস্তান সরকারের প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যু:

◾১৯১৮- সাহিত্যিক অজিত কুমার চক্রবর্তী।
◾১৯২২- বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সমাজসেবী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন অম্বিকাচরণ মজুমদার।

◾১৯৭৯- ভারতীর, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং বিপ্লবী ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত।
◾১৯৯৫- বাংলাদেশি সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন।
২০০৩- বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যরিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী সালমা সোবহান।

মোনাজাতউদ্দিন

একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক। ১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আশির দশকে বাংলাদেশে তিনি মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ চারণ সাংবাদিক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

দৈনিক সংবাদে পথ থেকে পথে ধারাবাহিক রিপোর্টের জন্য খ্যাতি লাভ করেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও পেয়েছেন জহুর হোসেন চৌধুরী স্মৃতিপদক, ফিলিপস পুরস্কার, রুমা স্মৃতি পদক, কারিগর সম্মাননা পদক, রংপুর নাগরিক নাট্যগোষ্ঠী পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য লেখাগুলো হলো- সংবাদের নেপথ্য, পথ থেকে পথে, কানসোনার মুখ, নিজস্ব রিপোর্ট, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, কাগজে মানুষেরা, নরনারী, শাহ আলম ও মজিবের কাহিনী ইত্যাদি। ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর যমুনা নদীতে ড্রেজিং পয়েন্টের ছবি তুলতে গিয়ে আকস্মিকভাবে পড়ে পানিতে ডুবে মারা যান।