আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার, ১৫ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। আজকের দিনটি সময়ের হিসাবে অতি অল্প সময়। আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনেই ঘটেছে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

অনেকের আজ জন্মবার্ষিকী আবার কেউ মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই দিনেই। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক আজকের দিনের ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়-

ঘটনাবলি:

◾১৭৩০- জাপানের হোক্কাইদোতে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ১ লাখ ৩৭ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
◾১৯০৬- পূর্ব বাংলার ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
◾১৯৪৩- সুভাষ চন্দ্র বসু কর্তৃক পোর্ট ব্লেয়ারে ভারতের পতাকা উত্তোলন।
◾১৯৭২- স্বাধীন বাংলাদেশের হাইকোর্ট উদ্ধোধন।

জন্ম:

◾১৮৬৫- ইংরেজ লেখক ও কবি, নোবেল বিজয়ী রুডইয়ার্ড কিপলিং।
◾১৯৪২- রুশ লেখক ভ্লাদিমির বুকোভস্কি।
◾১৯৫০- ডেনীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিয়ারনে স্ট্রোভস্ট্রুপ।
◾১৯৭৪- ভারতীয় কার্টুনিস্ট, কবি ও সমালোচক এস. জিতেশ।
◾১৯৭৭- আমেরিকান বক্সার ও অভিনেত্রী লায়লা আলী।

মৃত্যু:

◾১৯৪৪- সাহিত্যে নোবেলজয়ী ফরাসি নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিল্প ঐতিহাসিক ও অধ্যাত্মবিদ রোম্যাঁ রোলাঁ।
◾১৯৫৩- কবি শাহাদাৎ হোসেন।
◾১৯৭৯- আধুনিক বাংলা কবিতার বিশিষ্ট বাঙালি কবি অজিতকুমার দত্ত।
◾২০০৭- খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট রেবতীভূষণ ঘোষ।
◾২০১১- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এম হামিদুল্লাহ খান।

মৃণাল সেন

প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। ১৯২৩ সালের ১৪ মে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত পূর্ব বঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের একটি শহরে বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাত-ভোর মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশি সাফল্য না পেলেও তার দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে তাকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। তার তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবণ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আব্বাসউদ্দীন আহমেদ

একজন বাঙালি লোক সংগীতশিল্লী, সংগীত পরিচালক, ও সুরকার। ১৯০১ সালের ২৭শে অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রংপুর ও কোচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া, ক্ষীরোল, চটকা গেয়ে আব্বাস উদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তারপর জারি, সারি, ভাটিয়ালি , মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান ইত্যাদি গান গেয়ে জনপ্রিয় হন। তার কিছু বিখ্যাত গান-‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’,‘তোরষা নদী উথাল পাতাল, কারবা চলে নাও’,‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’ ইত্যাদি। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরম্যান্স, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।